ভারতের উত্তরপ্রদেশে ধর্ষণের পর খুন করে এক কিশোরীকে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হল


ভারতের উত্তরপ্রদেশে ধর্ষণের পর খুন করে এক কিশোরীকে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হল

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক : ভারতের উত্তরপ্রদেশে লজ্জার ইতিবৃত্ত এখনো অব্যাহত। বদুয়াঁর পর আরও একবার ধর্ষণের পর খুন করে এক কিশোরীকে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হল। এবার ঘটনাস্থল উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদ।এই ঘটনায় আরও একবার বেআব্রু হলো উত্তর প্রদেশের নারী সুরক্ষার বেহাল দশা। নারী নির্যাতনের ঘটনা সে রাজ্যে ক্রমবর্ধমান। অনান্য যৌন নির্যাতনের সঙ্গে সঙ্গে উত্তরপ্রদেশে প্রতিদিন গড়ে অন্তত ১০টি ধর্ষণের ঘটনা নথিভুক্ত হয়। বাস্তব চিত্রটা স্বাভাবিক ভাবেই আরও ভয়াবহ।রক্ষকই দেখা দিল ভক্ষকের ভূমিকায়। ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধেই। হামিরপুরের এক নারী চার পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে তাঁকে ধর্ষণের অভিযোগ আনলেন।নিগৃহীতা মহিলা অভিযোগ করেছেন তাঁর স্বামীর মুক্তির বিষয়ে কথা বলতে তিনি রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ পুলিশ স্টেশনে যান। ওই মহিলার দাবি সেই সময়ে থানায় এক সাব-ইন্সপেক্টর ছাড়া আর কেউই ছিল না। অভিযোগ ওই সাব-ইন্সপেক্টর নিজের ঘরে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে।অভিযুক্ত সাব ইন্সপেক্টরকে গ্রেপ্তার করা হলেও অপর তিন অভিযুক্ত কনস্টেবল এখনও পলাতক। নিগৃহীতা নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে চার অভিযুক্তের বিরুদ্ধেই এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।

all-cel-banaer-psd.-3

আমার জীবনের বৈপ্লবিক পরিবর্তন – একজন মুসলিম বোনের গল্



all-cel-banaer-psd.-3

আমার জীবনের বৈপ্লবিক পরিবর্তন – একজন মুসলিম বোনের গল্

এম,এ,সালাম

আজ আমি আপনাদের সাথে আমার হিজাব শুরু করার আগের ও পরের জীবনের কথা শুনাতে চাই। আমি ২০ বছর বয়সী একজন মুসলিম মেয়ে যার জন্ম আরব উপসাগরীয় এলাকায়-ইসলামের আদি জন্মভূমিতে।আমি বিশ্বাস করতাম হিজাব তেমন কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়।যদিও আমার মা হিজাব পড়তেন, তিনি আমাকে বা আমার বোনকে তা পড়ার ব্যাপারে জোর করেন নি। তিনি মনে করতেন কাজটা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে করা উচিত, নতুবা তার আওতার বাইরে চলে গেলেই আমরা হিজাব পড়া ছেড়ে দিব। আমি মনে করি ধারণাটা কিছু মাত্রায় সঠিক।

অথবা আমরা যখন বড় হব তখন হিজাব পড়াটাকে আমাদের কাছে খুব কঠিন মনে হবে। কারণ সারাজীবন ধরে একটি বিষয়ে অভ্যস্ত হওয়া আর তারপর হঠাৎ করে সেটা বদলে ফেলা খুব কঠিন। মন পরিবর্তন করতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়।
]
যাই হোক, নিজেকে সুন্দর করে উপস্থাপন করতে আমি খুবই ভালবাসতাম যেহেতু আমি দেখতে খুবই আকর্ষণীয় ছিলাম।আর এটাই ছিল সবচেয়ে কঠিন অংশ।আমি দামী দামী জামা-কাপড় কিনতে, সেগুলো দিয়ে নিজেকে সাজাতে খুবই পছন্দ করতাম। সবাই যখন আমার দিকে তাকাত এবং বিশেষভাবে চিহ্নিত করত, ব্যাপারটা আমি চরমভাবে উপভোগ করতাম। আমি ভালবাসতাম প্রশংসা শুনতে –বাহ মেয়েটাতো দারুণ সুন্দরী।

আমার মাধ্যমিক স্তরের পড়াশোনা শেষ হবার পর উচ্চ শিক্ষার জন্য আমি আমেরিকাতে যাবার সিদ্ধান্ত নিলাম। সেখানে আমি একটি বিষয় লক্ষ করলাম যা আগে কখনও দেখিনি। তা হল মুসলিম সমাজ এবং সম্প্রদায়। এ এক অসাধারণ সমাজ আদর্শ মুসলিমদের নিয়ে যারা ইসলাম পালন করছে আমি যেভাবে অভ্যস্ত তার তুলনায় সম্পূর্ণ ভিন্ন এক মাত্রায়। আরব উপসাগরীয় এলাকার মুসলিমরা জন্মগতভাবে মুসলিম। তাদের কোন প্রশ্ন করতে হয়না কারণ সব কিছুই খুব সুস্পষ্ট। আমাদের নিজেদের ঈমান নিয়ে এবং কিভাবে আল্লাহতে বিশ্বাস করতে হবে এগুলো নিয়ে চিন্তা করতে হয় নি কারণ আমরা বেড়েই উঠেছি মুসলিম হিসেবে এবং আমাদের চারপাশের সবাই ছিল মুসলিম।  প্রকৃত ইসলামের স্বরূপ কেমন এটা এবং সব ধরণের ধর্মাবলম্বী সম্বলিত একটি মিশ্র সমাজে বাস করার অনুভূতি কেমন সে সম্পর্কে আমাদের কোন ধারণাই ছিল না। আমি উপলব্ধি করলাম উপসাগরীয় লোকজন বিশুদ্ধ ধর্ম পালন করত না, যা করত তা হল ধর্ম এবং সংস্কৃতির এক ধরণের মিশ্রণ।আমি আবিষ্কার করলাম-অনেক কিছু, যাকে আমি ইসলামিক বলে মনে করতাম, আসলে সাংস্কৃতিক বিশ্বাস এবং সেগুলো অধিকাংশ ক্ষেত্রেই চরম ভুল!আমি জানলাম যে বিশুদ্ধ ইসলাম সেটা না যার মাঝে আমরা বেড়ে উঠেছি বরং তা ছিল অর্থহীণ বিষয়ে পূর্ণ যা বহুদিন ধরে আমাদের সংস্কৃতির অংশ। বিশুদ্ধ ইসলামের শিক্ষার উৎস শুধুই ক্বুরআন ও সুন্নাহ।

যখন আমেরিকার লোকজন জানতে পারল যে আমি মুসলিম, তখন তারা সবসময় ইসলামের ব্যাপারে আমাকে নানা ধরণের প্রশ্ন করত। অধিকাংশ সময়েই আমি তাদের সেসব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারতাম না। ফলে আমি বিভিন্ন ইসলামী বই এবং ইন্টারনেট ঘাটাঘাটি করা শুরু করলাম-বিশুদ্ধ ইসলাম জানার আশায়। আমার অবস্থা ছিল এমন ব্যক্তির মত যে কখনও ইসলামের কথা আগে শোনেনি।

আমি অনেক কিছু জানতে পারলাম যা আমি আগে জানতাম না।আমি মসজিদে যাওয়া শুরু করলাম এবং প্রচুর ভাই বোনদের সাথে ইসলামিক বিষয়ে কথা বলা ও আলোচনায় অংশ নিতে লাগলাম। আমি শপথ করে বলতে পারি যে আমার নিজের দেশে আমি কখনও কোন মসজিদে যাই নি এবং সেটার কথা চিন্তাও করিনি। যদিও আমার দেশে হাজার হাজার মসজিদ ছিল।আমি ছাড়া মসজিদের সমস্ত বোনরা হিজাব করত।আমি বাদে আর সবাই ছিল আমেরিকান। তারা আমার ব্যাপারে খুবই উদার ছিল আর সেজন্য আমি তাদের খুবই সম্মান করি। আমি এটা নিয়ে সবসময়ের জন্য ভাবা শুরু করলাম এবং আমার হিজাব পড়া নিয়ে প্রচুর স্বপ্ন দেখতে লাগ্লাম।আমি হঠাৎ এক অচেনা অনুভূতির সম্মুখীন হতে লাগলাম- আর তা হল কেউ আমার দিকে তাকিয়ে থাকলে তা উপভোগ করার বদলে আমার বিতৃষ্ণা বোধ হতে থাকল। আমার নিজেকে একটা ছবির মত মনে হত যার কোন ব্রেন বা হৃদয় বলতে কিছু নেই। পরিশেষে আমি সিদ্ধান্ত নিলাম হিজাব শুরু করলাম। এটা আমার জীবনের নেয়া সর্বশ্রেষ্ঠ সিদ্ধান্ত। জীবনে প্রথমবারের মত আমি অনুভব করলাম যে আমি একজন দৃঢ় চিত্তের মানুষ।আমি যা বিশ্বাস করি সে অনুযায়ী কাজ করি।চারপাশের মানুষ আমার ব্যাপারে কি বলল বা আমার দিকে কিভাবে তাকাল, আমি তা গ্রাহ্য করি না।

হিজাব পড়ার পর প্রথম দিনটি ছিল সবচেয়ে সুন্দর। আমি এত সুখী আর উদার জীবনে আর কখনও বোধ করি নি যেমনটি করেছিলাম সেদিন। আর বন্ধু এবং আত্মীয় স্বজনদের জন্য অবিশ্বাস্য ছিল যে আমি আসলেও এটা করতে পারব এবং প্রত্যেকে বলেছিল যে আমার এটা বেশী দিন স্থায়ী হবে না। সম্ভবত তাদের এই অনুমান অনেকগুলো কারণের মাঝে একটি যা আজও আমাকে হিজাব পড়া অব্যাহত রাখার ব্যাপারে সাহায্য করেছে। আমার নিজের সাথে এজন্য যুদ্ধ চালাতে হয়েছে। আমার আমি সবসময়ই দুনিয়ার এই জীবনটাকে খুব ভালবাসে এবং তাকে সর্বোত্তমরূপে ভোগ করতে চায়। কিন্তু তখন সময় এসেছিল তাকে থামানোর এবং আমি তা করেছিলাম।কিছুদিন পর থেকে সবাই আমাকে সম্মানের চোখে দেখা শুরু করল যেভাবে তারা আগে কখনও দেখেনি। সবাই আমাকে চরমভাবে বিশ্বাস করা শুরু করল এই কারণে যে তারা জানত আমি একজন ধার্মিক ব্যক্তি।

কি তাদের মাঝে এই ধারণার জন্ম দিল?   -হিজাব

আমি এখন যে কোন জায়গায় যেতে পারি এবং কেউ আমার দিকে এমনভাবে তাকায় না যে আমি একটা ছবি বা প্রাণহীণ পুতুল।তবে আমি এখনও সুন্দর করে পোশাক পড়ি এবং সাজগোজ করি, যখন আমি শুধু আমার বোনদের মাঝে থাকি আর দেখা গেল সেটা আরও বেশি মজা- নির্মল বিনোদন।

আমি বিশ্বাস করি আল্লাহ হিজাব বাধ্যতামূলক করেছেন আমাদের সাহায্য করার জন্য, আমাদের জীবনকে সহজতর করার জন্য। এটা নারী ও পুরুষের মাঝে সম্মানজনক সেতুবন্ধনের সাহায্য করে। তাছাড়াও এটা হল নিজের সৌন্দর্য শুধু নিজের কাছে এবং যাদের কাছে আল্লাহ অনুমতি দিয়েছেন শুধু তাদের কাছেই তুলে ধরার ব্যাপার।এটা অন্য সকল ধর্মের মত একটি চিহ্ন বা স্মারক যে আমি একজন মুসলিম। যেমন ইহুদীরা তাদের মাথার উপর একটা ছোট কাপ পড়ে আর খ্রিস্টানরা পরে ক্রস।তাদের কেউই জনসম্মুখে এটা পড়তে লজ্জিত বোধ করে না। কোন মানুষ এব্যাপারে খারাপ ধারণাও পোষণ করে না।

একটা মেয়ে হিজাব পড়ে যেন এটা তাকে ভুল বা হারাম কাজে লিপ্ত হয়ে পড়া থেকে বাঁচায়। যে মেয়েটা হিজাব পড়ে সে এমন দৃঢ়চিত্ত হয় যে, যে কোন কিছু করতে পারে এবং জীবনের পথে যে কোন সমস্যা মোকাবিলা করতে পারে।  তোমার চারপাশের সবাই তোমাকে বিশ্বাস করবে কারণ তুমি নিজেকে বিশ্বাস কর। তুমি কি জান না যে তোমার বাহ্যিক দিক খুব গুরুত্বপূর্ণ? তুমি কি জান না তা খুব মূল্যবান? তুমি যে সুন্দর এটা বলার জন্য তোমার কাউকে প্রয়োজন নেই, কারণ তুমি তা জান। আর তোমার দিকে এমনভাবে তাকিয়ে থাকার জন্যও তোমার কাউকে দরকার নেই যেন তুমি একটা সুন্দর ছবি না চিত্রকর্ম, কারণ তুমি একজন মানুষ।

অসাধারণ খাসি কথা


লাড্ডু নামের এক কথা বলা ছাগল৷ না, না খাসি, যাকে পাওয়া যায় কবিরাজি কাটলেট বা বিরিয়ানির প্লেটে৷ 

যাঁকে দিয়ে বংশবৃদ্ধির কাজটুকুও হয় না৷ এহেন লাড্ডু নামের এক বলিপ্রদত্ত খাসি যখন ছবির নায়ক, তখনওই গল্প অন্যদিকে যে মোচড় নেবে তা প্রথম থেকেই বোঝা যাচিছল! যুধাজিত্‍ সরকার প্রমাণও করে দিলেন তিনি অন্যধারার পরিচালক হয়েও অনন্য৷ এই খাসির মুখ দিয়েই তিনি শোনালেন এই শহরে প্রান্তিক এক মুসলিম পরিবারের কাহিনি৷ যে পরিবারে রয়েছেন চাকরি খোয়ানো বৃদ্ধ, তার দুই ছেলে ও মেয়ে পারভেজ ও সালমা! পারভেজ চাকরি নেয় ব্যাঙ্ক বাউন্সারের৷ বড় পিচ্ছিল পথ সেটা৷ একসময় সেই পথেই সমাপ্তি ঘটে তাঁর জীবনের৷ বোন সালমার বক্সার হওয়ার স্বপ্ণ অবশ্য সফল হয় প্রতিদ্বন্দ্বী শাহজাদিকে হারিয়ে৷ পরিবারের এই গল্প বলার ফাঁকে ফাঁকে জুড়ে দেওয়া হয় কসাইএর সঙ্গে খাসির বাক্যালাপ৷ এই পর্বটিই ছবির বড় প্রসাদগুণ৷ আসলে কমেডির মোড়কে এমনভাবে সোস্যাল রিয়্যালিটিকে তুলে আনা বড় একটা ঘটে না বাংলা সিনেমায়৷
‘খাসিকথা’ আদ্যন্ত পরিচালকের ছবি৷ যুধাজিত্‍ সরকার পরতে পরতে মিশিয়ে দিয়েছেন তাঁর প্রকরণ শৈলীর কলাকৌশল! ছবির টাইটেল কার্ড থেকে যে দেখনদারির শুরু৷ টিভির পর্দায় পারভেজের স্বপ্ণ-প্রেমিকার গতায়াত, নতুন বক্সিং কোচ আববু মিঞার চরিত্রায়ণ, সালমার এক নীরব দূর (বক্সিং) প্রেমিকার উপস্হিতি, সত্যিই অন্যতর এক ফিলিং তৈরি করে৷ খাসির গল্প শুনতে শুনতে একটা সময় কসাই ‘কেয়াবাত’ বলে উঠতেই খাসির ‘মুক্তি’ সম্পূর্ণ হয়৷
আবার এটাও বলতে হচেছ ‘খাসি কথা’ যতটাই পরিচালকের ছবি, ঠিক ততটাই অভিনেতাদের ছবি৷ একমাত্র নাসিরুদ্দিন শাহ ছাড়া ‘নামি’ অভিনেতা কেউ না থাকলেও সেই অনামী অভিনেতারাই বাজিমাত করে দিয়েছেন৷ প্রথম নাম অনিন্দিতা চ্যাটার্জি, তাঁর সালমা মনে ও চোখে ধরার মতো! যেমন পারভেজের চরিত্রে প্রসূন গায়েন, তিনি বুঝিয়ে দিলেন অভিনয় তাঁর আস্তিনে লুকনো রয়েছে৷ শিলাজিত্‍ তাঁর এতদিনকার গায়ক ইমেজ ছেড়ে পঙ্গু খোঁড়া আব্বু মিঞা হয়ে উঠেছেন বেশ সাবলীলভাবেই৷ শুভাশিস মুখোপাধ্যায় বেশ কিছু  দিন হল কমেডিয়ান পোশাক ছুড়ে ফেলেছেন৷ তিনি এখন ইমপর্ট্যাণ্ট চরিত্রের প্রত্যাশী৷ বৃদ্ধ বাবার চরিত্রে শুভাশিস সত্যিই অনবদ্য৷ সালমার প্রতিদ্বন্দ্বী বক্সার শাহজাদির চরিত্রে আনন্দী বসুকে কেন যে টালিগঞ্জ ধারাবাহিকভাবে সরিয়ে রাখছে! বাউন্সার দলের সর্দার দিব্যেন্দু ব্যানার্জি অনেক দিন ধরেই জানিয়ে দিচেছন ছোট চরিত্রে কাজ করলেও তিনি ‘ছোট’ কাজ কখনওই করেন না৷ পর্দায় না থেকেও সবার উপরে রয়েছেন কাঞ্চন মল্লিক৷ তিনিই খাসির কণ্ঠস্বর৷ হিন্দি-বাংলা ইংরেজি ভাষার বিচিত্র মিশ্রণে তৈরি সংলাপকে কী সুন্দরভাবে উইথ পানিং অ্যান্ড পাঞ্চিং বলেছেন! কাঞ্চন সত্যিই ডাবিং-এ অনন্যসাধারণ৷ আর নাসিরুদ্দিন শাহ, তিনি ঠিক তাঁর মতোই৷ এক চুল কম বা বেশি নন৷ ‘খাসি কথা’ এঁদের সম্মিলিত অভিনয় দেখার জন্যও অন্তত একবার দেখা যেতেই পারে৷
banglanews26.com

বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া সাপটির কঙ্কাল | বিদেশের একটি জাদুঘরে |


লুপ্ত হয়ে যাওয়া সাপটির কঙ্কাল | বিদেশের একটি জাদুঘরে |
অ-এ অজগরও তাকে দেখলে নির্ঘাত্‍ ল-এ লেজ গুটিয়ে পালাত৷ কেউটে, গোখরো, শঙ্খচূড়রা তাঁর এক দর্শনেই লজ্জায় মুখ ঢাকত নিশ্চয়ই৷ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রণে ভঙ্গ দিত অতিকায় অ্যানাকোন্ডাও৷ 
কারণ? 
টিটানোবোয়া৷ বিশ্বের বৃহত্তম, দীর্ঘতম এবং সবচেয়ে ভারি সাপ৷ এককথায় চলমান ত্রাস৷
দৈর্ঘে ৫০ ফুট৷ ওজন প্রায় ১,১২৪ কেজি৷ তুল্যমুল্য বিচারে প্রায় দশটি অ্যানাকোন্ডা সাপের সমান৷ শুধু কী তাই! কলম্বিয়ার জলাজমিতে দাপিয়ে বেড়ানো এই ‘দানব সাপ’-এর খাদ্যতালিকাটিও সমান আকর্ষণীয়৷ লাংফিশ, অতিকায় কচছপ ছাড়াও আস্ত কুমিরও অনায়াসে গিলে খেত এই টিটানোবোয়া৷ 
না, ‘সেই সাপ জ্যান্ত’ আজ আর পৃথিবীতে নেই৷ প্রায় ৬০০ লক্ষ বছর আগেই বিদায় নিয়েছে সে৷ রয়ে গিয়েছে তার জীবাশ্ম৷ সম্প্রতি সেটিই উদ্ধার করেছেন জীবাশ্মবিদরা৷ কলম্বিয়ার রাঞ্চেরিয়া নদীর অববাহিকায় অবস্থিত কেরেজন কয়লাখনির গর্ভে হদিশ মেলে বিশলাকায় এই কুমিরের৷ 
ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরুদণ্ডী প্রাণীদের উপর গবেষণারত জীবাশ্মবিদ, ডেভিড পলির মতে, “এই সাপ আকৃতিতে এতটাই বড় যে জীবিত অবস্থায় দেহের বেশিরভাগ অংশই জলের তলায় রাখতে হত একে৷” জলের থেকে স্থলে এদের গতিবিধি আরও ক্ষিপ্র, আরও মারাত্মক৷ এহেন টিটানোবোয়ার এক ঝলক পেতে পাড়ি দিতে হবে নিউ ইয়র্ক৷ কারণ সেখানকার স্মিথসোনিয়ানের জাতীয় সংরক্ষণশালায় টিটানোবোয়ার একটি রেপ্লিকা সযত্নে রক্ষিত আছে৷ 
all-cel-banaer-psd.-3

স্বামীকে বেঁধে অসুস্থ স্ত্রীকে ধর্ষণ করল ছাত্রলীগ নেতা


স্বামীকে বেঁধে অসুস্থ স্ত্রীকে ধর্ষণ করল ছাত্রলীগ নেতা

rape-sb4banglanews26.com
চিকিত্সা নিতে রাজধানীতে এসে হোটেলকক্ষে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধূ। গত রোববার গভীর রাতে মগবাজারের এক আবাসিক হোটেলে পাশের কক্ষে স্বামীকে বেঁধে রেখে তাকে ধর্ষণ করা হয়। ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ ওই কক্ষ থেকে মহানগর ছাত্রলীগের এক নেতা ও তার এক সহযোগীকে ছুরিসহ গ্রেফতার করেছে।
রমনা থানার পুলিশ জানায়, গ্রেফতার হওয়া দুজন হলো ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল হোসেন ও তার সহযোগী উজ্জ্বল মিয়া।
সোমবার আদালতে পাঠালে আদালত তাদের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে। মঙ্গলবার থেকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে।
রমনা থানার পুলিশ জানায়, সড়ক দুর্ঘটনায় কিছুদিন আগে ওই গৃহবধূর বাঁ চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ধানমন্ডির একটি চক্ষু হাসপাতালে তিনি চিকিত্সা নিচ্ছেন। ওই চোখের চিকিত্সার জন্য তিনি কুমিল্লা থেকে স্বামীর সঙ্গে গত রোববার সন্ধ্যায় ঢাকায় আসেন।
তারা মগবাজার মোড়ে হোটেল গোল্ডেন এন প্যালেস নামের আবাসিক হোটেলের দোতলার একটি কক্ষ ভাড়া নেন। রোববার দিবাগত রাত একটার দিকে ওই কক্ষের দরজায় কড়া নাড়ার শব্দে দম্পতির ঘুম ভাঙে।
গৃহবধূর স্বামী ‘কে’ জিজ্ঞেস করলে জবাব আসে ‘হোটেল মালিক’। এতে তারা দরজা খুলে দিলে ছুরি হাতে চার-পাঁচজন কক্ষে ঢুকে পড়ে। ছুরির মুখে তিনজন তার স্বামীকে পাশের কক্ষে নিয়ে আটকে রাখে। ওই কক্ষে থাকা দুজনের একজন গৃহবধূকে আটকে রাখে, অন্যজন ধর্ষণ করে। এ সময় ওই নারী কৌশলে মুঠোফোনে এক আত্মীয়কে বিষয়টি জানালে তিনি রমনা থানার পুলিশকে জানান।
পুলিশের একটি দল রাত দেড়টার দিকে ওই হোটেল কক্ষে গিয়ে গৃহবধূকে উদ্ধার ও ছাত্রলীগ নেতা ইকবালসহ দুজনকে ছুরিসহ গ্রেফতার করে।
রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান বলেন, গ্রেফতার দুজনকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনার শিকার গৃহবধূ নিজেই রমনা থানায় মামলা করেছেন।
সোমবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তবে এখনও ওই পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি।
পুলিশ জানায়, এজাহারে ইকবাল হোসেনকে ধর্ষণকারী ও উজ্জ্বলকে সহায়তাকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
ইকবালের গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার বাংলাবাজারে এবং উজ্জ্বলের বাড়ি একই জেলার সখীপুর উপজেলার ব্যাপারীকান্দিপাড়া গ্রামে। ইকবাল ঢাকার কাঁঠালবাগান ফ্রি স্কুল স্ট্রিটে তার বাসা বলে পুলিশকে জানিয়েছে।
অবশ্য পুলিশকে দেয়া ইকবালের ঠিকানা অনুযায়ী ফ্রি স্কুল স্ট্রিটে গিয়ে জানা যায়, সেখানে এ নামের কেউ থাকে না। মগবাজারে গিয়ে ওই আবাসিক হোটেল বন্ধ পাওয়া যায়।
রমনা থানার ওসি জানান, ধর্ষণের ঘটনার পর পুলিশ আবাসিক হোটেলটি বন্ধ করে দিয়েছে। হোটেলের কোনো কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, হোটেলের ব্যবস্থাপক ও কর্মীদের ভয় দেখিয়ে দরজা খুলতে বাধ্য করেছিল ইকবাল ও অন্যরা।
যোগাযোগ করা হলে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক দাবি করেন, যুগ্ম সম্পাদক পদ থেকে ইকবালকে আগেই বহিষ্কার করা হয়েছে।
all-cel-banaer-psd.-3

আজকের রাশিফল ১২জুন,২০১৪


আজকের রাশিফল ১২জুন,২০১৪

rashifol

 

মেষ:
বৃত্তি পরিবর্তনের ঝুঁকি নিয়ে সাফল্যের সম্ভাবনা। গুরুজনের সঙ্গে সম্পত্তি-বিবাদে মনঃকষ্ট। নৃত্যগীতাদি চারুকলার অনুশীলনে ব্যুত্‌পত্তির স্বীকৃতির যোগ।

বৃষ:
বিদেশে উচ্চশিক্ষা বা গবেষণার বিলম্বিত সুযোগ পেতে পারেন। জ্যোতিষ ও সংখ্যাতত্ত্বের চর্চায় কৃতিত্বের স্বীকৃতি। অতিরিক্ত রক্তচাপ ও বাতজ বেদনা পীড়া দেবে।

মিথুন:
ক্রূর কর্মীর কারসাজিতে ব্যবসায় লোকসান। পায়ের হাড় নিয়ে সমস্যায় চলাফেরায় অসুবিধা। গুণী ও সাধুসন্তের সঙ্গগুণে শান্তির আশা।

কর্কট:
কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব বৃদ্ধির সুবাদে প্রভাব-প্রতিপত্তি বাড়বে। লটারি বা ফাটকায় প্রাপ্তিযোগ। বিদেশে স্বজনবন্ধুর দুঃসংবাদে উদ্বেগ।

সিংহ:
ব্যবসায় বিনিয়োগ বৃদ্ধির শুভ যোগ। অন্যকে সাহায্য করতে গিয়ে অপমান ও উপহাস জুটতে পারে। সপরিবার মনোরম স্থানে ভ্রমণের পরিকল্পনা।

কন্যা:
মামলা-মকদ্দমা এড়িয়ে আলোচনায় সম্পত্তি-বিবাদ মিটে যেতে পারে। শত্রুর সঙ্গে আপস-মীমাংসার সম্ভাবনা। নানা কারণে ব্যয় বৃদ্ধির জন্য সঞ্চয় কম।

তুলা:
প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্যের সূত্রে নামী সংস্থায় কাজের সুযোগ। অপ্রিয় সত্যকথনে শত্রু বৃদ্ধি। সংক্রমণজনিত জ্বরজ্বালা ভোগাবে।

বৃশ্চিক:
কর্মস্থলের সমস্যা চিন্তা বাড়াবে। নতুন গৃহ নির্মাণে জ্ঞাতিপড়শির সঙ্গে বিরোধ। বিদ্যার্থী ও গবেষকদের শুভ দিন।

ধনু:
পদস্থ ব্যক্তির আনুকূল্যে কর্মসমস্যার সমাধান হয়ে যেতে পারে। সহৃদয় ব্যবহার ও যুক্তিপূর্ণ আলোচনায় শত্রুবশ। পথেঘাটে চলাফেরায় বাড়তি সতর্কতা দরকার।

মকর:
কর্মক্ষেত্রে কোনও সমস্যা মিটিয়ে প্রশংসা জুটতে পারে। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষ থেকে বিপত্তির আশঙ্কা। আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্য তীর্থভ্রমণের পরিকল্পনা।

কুম্ভ:
উপার্জনের বিকল্প পন্থায় সাফল্যের সূচনা। প্রবাসী প্রিয়জনের ঘরে ফেরার খবর মিলতে পারে। কিডনি বা লিভারের সমস্যায় ভোগান্তি।

মীন:
কর্মপরিবর্তনের পরিকল্পনায় আশার আলো। উপেক্ষাকে দুর্বলতা ভেবে শত্রু দাপট দেখাতে পারে। মহত্‌ কাজে শ্রমদানে শান্তি।

 

all-cel-banaer-psd.-3banglanews26.com