সহজেই চুল পড়া বন্ধ করুন


  • গরম পানিতে গোসল ত্যাগ করা উচিত।
  • প্রচুর পানি পান করুন।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
  • চুল ট্রিম করুন।
  • হেয়ার ম্যাসাজ করুন।
  • জেনেটিক, হরমোন পরিবর্তন বা মা হওয়ার পর চুল পড়লে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ভেজা চুলে চিরুনি দেবেন না।
  • গোড়া শক্ত করে সব সময় চুল বাঁধবেন না।
  • চুল পড়তে থাকলে চুলে তেল দেয়া বন্ধ করুন।
  • আয়রন ট্যাবলেট গ্রহণ করুন, সবুজ এবং হলুদ সবজি ও ফল বেশি করে খান।
  • প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার যেমন ডিমের সাদা অংশ, ভেড়ার মাংস, সয়াবিন, পনির, দুধ এবং দই চুলের জন্য উপকারী।
  • চুলে হিট দিলে তা চুলের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই হিট বন্ধ করুন।
  • সূর্যের তাপ পরিহার করুন।hairfall
  • মাথার চামড়ার ওপর নরম ম্যাসাজ চুলের গোড়ায় রক্ত চলাচল বাড়ায়, যা চুলের জন্য ভালো।
  • চুল অতিরিক্ত আঁচড়াবেন না।
  • চিকন হওয়ার জন্য অতিরিক্ত ডায়েট কন্ট্রোল চুলের জন্য ক্ষতিকর।
  • ধূমপান চুলের জন্যও ক্ষতিকর।
  • ভিটামিন সি, ই এবং বিটা ক্যারোটিন চুলের জন্য ভালো।
  • মেডিটেশন এবং যোগব্যায়াম মানসিক চাপ কমায়, যা চুলের জন্যও ভালো।
  • কুমড়োর বিচি ফাইটোস্ট্রোজেনের উৎস, যা চুল পড়া বন্ধ করতে সাহায্য করে। এক চা-চামচ করে সপ্তাহে তিন চামচ বেটে চুলে দিলে এক্ষেত্রে কার্যকর হবে।
  • কন্ডিশনার কেবল ত্বকের ওপর নয়, চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত লাগিয়ে ১ থেকে ২ মিনিট রেখে পর্যাপ্ত পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
  • চিরুনির ফাঁক হওয়া উচিত বড়। ঘন দাঁতওয়ালা চিরুনি ব্যবহার করা উচিত নয়।
  • কালারিং, সোজাকরণ ইত্যাদি একসঙ্গে করা উচিত নয়।
  • উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত জাঙ্ক ফুডে চুল শক্ত হলেও ভঙ্গুর হয়ে যায়।
  • চুলকে কিছু বিশ্রাম দেয়া উচিত। তাকে হাওয়ায় উড়তে দিন ইচ্ছামতো।

পাকিস্তানে মার্কিন সন্ত্রাসী ড্রোন হামলা বন্ধ করছে সিআইএ : রিপোর্ট


পাকিস্তানের অভ্যন্তরে মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ সন্ত্রাসী ড্রোন হামলা কমিয়ে কিংবা বন্ধ করে দিচ্ছে। ২০০৪ সালে ড্রোন হামলা শুরুর পর পাকিস্তানে যেখানে অন্তত ৩০০ বার ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে সেখানে গত ডিসেম্বর মাস থেকে এ পর্যন্ত একবারও এ হামলা হয়নি।
বার্তা সংস্থা এপি’র বরাত দিয়ে পাকিস্তানের ইংরেজি দৈনিক এক্সপ্রেস ট্রিবিউন বলেছে, শক্ত শাসনব্যবস্থা, কূটনৈতিক স্পর্শকাতরতা এবং কথিত আল কায়দার ঝুঁকির ধরন পরিবর্তনের কারণে ড্রোন হামলা কমানো হয়েছে। তবে, বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি সিআইএ এবং হোয়াইট হাউস।
এক্সপ্রেস ট্রিবিউন আরো বলেছে, যেখানে আগে প্রতি সপ্তাহে গড়ে দুইবার ড্রোন হামলা হতো সেখানে ২০১৩ সালের ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত একটি হামলাও হয়নি।
মার্কিন সাংবাদিক পিটার বারগেনের বরাত দিয়ে এপি বলেছে, পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, পাকিস্তানে মার্কিন ড্রোন হামলার কর্মসূচি বন্ধ করা হয়েছে। এ সাংবাদিক নিউ আমেরিকান ফাউন্ডেশনের হয়ে মার্কিন ড্রোন হামলার বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে ঘনিষ্ঠভাবে গবেষণা করে আসছেন।
গত ২৮ মে আমেরিকার সামরিক একাডেমিতে বক্তৃতা করার সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, সন্ত্রাসী হামলার ঝুঁকি সংবলিত ইয়েমেন ও সোমালিয়ায় মার্কিন ড্রোন হামলা অব্যাহত থাকবে। তবে তিনি পাকিস্তানের কথা বলেননি। ডন, রয়টার্স

বেশি পর্নোগ্রাফি দেখলে কমে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা


বেশি পর্নোগ্রাফি দেখলে কমে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা

parnographyঅতিরিক্ত পর্নোগ্রাফি দেখা ক্ষতি করতে পারে মস্তিষ্কের। একটি জার্মান সমীক্ষায় উঠে এসেছে এমনই তথ্য।

জিমি সাইকিয়াট্রিতে প্রকাশিত সমীক্ষা বলছে, যারা অতিরিক্ত পর্নোগ্রাফি দেখতে অভ্যস্ত তাদের মস্তিষ্কে ধূসর বস্তু অপেক্ষাকৃত কম পরিমানে পাওয়া গেছে। গঠনমূলক কাজ করার প্রবণতাও কম রয়েছে তাদের।

সমীক্ষা বলছে পর্নোগ্রাফি দেখার সঙ্গে মস্তিষ্কের আয়তনের সম্পর্ক রয়েছে। যদিও পর্নোগ্রাফি দেখার ফলে মস্তিষ্কের আয়তন কমে যায় নাকি অপেক্ষাকৃত ছোট মস্তিষ্কের মানুষরাই পর্নোগ্রাফি দেখেন সেই বিষয়ে এখনও নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায়নি।

২১ থেকে ৪৫ বছর বয়স্ক ৬৪ জন পুরুষের ওপর সমীক্ষা চালানো হয়। দেখা হয় পর্নোগ্রাফিক ছবি দেখে তাদের মস্তিষ্কে কী ধরনের প্রতিক্রিয়া হয়, সেইসঙ্গেই তাদের মস্তিষ্কের আয়তনেরও পরিমাপ করা হয়।

সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যৌনউদ্দীপনার সময় তাদের মস্তিষ্ক অনেক কম সক্রিয় থাকে। এমনকী, দেখা গিয়েছে যারা বেশি পর্নোগ্রাফি দেখতে অভ্যস্ত তাদের মস্তিষ্ক অনেক ক্ষেত্রে এক ধরণের প্রতিক্রিয়া দেয়।

জুলুমের হিসেব দিতে হবে, হুঁশিয়ারি রাজ্যকে


বিজেপির দল দেখে জনতার ঢল

1

সন্দেশখালির হালদার ভেড়িতে আক্রান্ত বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলছেন আসানসোলের বিজেপির দুই সাংসদ মীনাক্ষি লেখি ও বাবুল সুপ্রিয়। শনিবার নির্মল বসুর তোলা ছবি।

সকাল থেকেই টানা বৃষ্টি চলছিল। রাস্তায় থকথকে কাদা।

তবু শনিবারের বারবেলায় সেই জলকাদা ভেঙে বিজেপি নেতারা যখন গ্রামে ঢুকলেন, তাঁদের ঘিরে উপচে পড়ল ভিড়। দলের কয়েকশো কর্মী-সমর্থক তো ছিলেনই, সিপিএমেরও প্রচুর লোকজন তাঁদের সঙ্গে জুটে যান। এঁদের একটা বড় অংশ যে ইতিমধ্যে বিজেপির দিকে ঝুঁকে গিয়েছেন, তা-ও কার্যত স্পষ্ট।

দিল্লি থেকে আসা বিজেপির পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দলে ছিলেন দুই জাতীয় সহ-সভাপতি তথা সাংসদ মুখতার আব্বাস নকভি ও সুরিন্দর সিংহ অহলুওয়ালিয়া, সাংসদ তথা মুখপাত্র মীনাক্ষি লেখি, রাজ্য সহ-পরিদর্শক সিদ্ধার্থনাথ সিংহ ও সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ, রাজ্য নেতা শমীক ভট্টাচার্যেরা। কলকাতায় ফিরে মুখ্যসচিবের কাছে তাঁরা লিখিত বিবৃতিও দেন।

ওই বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়েছে, লোকসভা নির্বাচনের পরেই কোচবিহার থেকে সুন্দরবন পর্যন্ত সারা রাজ্যে বিজেপি কর্মীদের  আক্রমণ করছে শাসকদল তৃণমূলের লোকজন। সন্দেশখালি, ফলতা, বাসন্তী, বর্ধমানে লাউদোহা এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের নয়াগ্রামের পাঁচটি ঘটনা নির্দিষ্ট ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। পরে প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠকে নকভির হুঁশিয়ারি, শাসকদলের অত্যাচার বন্ধ না হলে বিজেপি কর্মীরাও শান্ত হয়ে বসে থাকবেন না। প্রতিনিধি দলের নেতা সুরিন্দর সিংহ অহলুওয়ালিয়া বলেন, “তফসিলি জনজাতি অধ্যুষিত ওই গ্রামে যদি রাজ্য সরকার অবিলম্বে অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দফতরের কাউকে না পাঠায়, তা হলে জাতীয় তফসিলি জাতি-জনজাতি কমিশনের প্রতিনিধিরা আসবেন এবং তা রাজ্যের পক্ষে মোটেই সুখকর হবে না।”

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদীর শপথের পরের দিন, গত ২৭ মে সন্দেশখালির হালদারঘেরি পাড়ায় তৃণমূলের ‘গুন্ডাবাহিনী’ ছররা গুলি চালিয়েছিল বলে অভিযোগ। তাতে বিজেপির ২১ জন জখম হন। তার প্রতিবাদে শুক্রবারই রাজ্যের থানায়-থানায় বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। ১২ ঘণ্টা বন্ধ হয়েছে বসিরহাট     মহকুমায়। দিল্লি থেকে প্রতিনিধি দল পাঠিয়ে সেই আন্দোলন কর্মসূচির তীব্রতাই আরও বাড়ানো হল। এ দিন সকালে তৃণমূলের একটি প্রতিনিধি দলেরও হালদারঘেরি পাড়া গ্রামে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরে তা বাতিল করে দেওয়া হয়। দলের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানান, ওখানে এখন কোনও রকম দলীয় কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে না।

বাসন্তীর রাস্তা ছেড়ে বাঁ দিকে বাঁক নিয়ে সরবেড়িয়া থেকে ধামাখালি যাওয়ার রাস্তা ধরলে দু’পাশে ধু-ধু মেছোভেড়ি। ফাঁকে-ফোঁকরে দু’চারটে করে বাড়ি। দুপুর ২টো নাগাদ ওই রাস্তা ধরেই হালদারঘেরি পাড়া গ্রামের কাছে পৌঁছয় বিজেপি নেতা-কর্মীদের পঁচিশটিরও বেশি গাড়ির কনভয়। দিল্লির প্রতিনিধিদের সঙ্গে ছিলেন কলকাতা ও জেলার বেশ কিছু নেতা-কর্মী। মূল সড়ক থেকে পায়ে চলা যে পথ গ্রামের দিকে নেমে গিয়েছে, তা কাদায় ভর্তি। সেই কাদা ডিঙিয়েই সকলে গ্রামে ঢোকেন।

তখনও বৃষ্টি হয়েই চলেছে। গ্রামে পূর্ব রামপুর আদিবাসী প্রাথমিক স্কুলে নেতাদের বসানো হয়। বাইরে মাইক লাগিয়ে বক্তৃতার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। স্থানীয় বাগদিপাড়া, ঝুপখালি, বেড়মজুর থেকেও প্রচুর মানুষ এসেছিলেন। তাঁরা অভিযোগ করেন, তৃণমূলের সন্ত্রাস রুখতে পুলিশ কিছু করছে না। প্রতিনিধি দল ফিরে গেলেই হামলা শুরু হবে বলেও তাঁরা আশঙ্কা প্রকাশ করেন। গ্রামের লোকজন কার্তুজের কিছু খোল নেতা-নেত্রীদের হাতে তুলে দেন।

মীনাক্ষি বলেন, “কার্তুজগুলো পর্যন্ত সংগ্রহ করেনি পুলিশ। মাত্র তিন জন গ্রেফতার হয়েছে।” বাবুলের কটাক্ষ, “আদিবাসী মানুষের উপর এত বড় আক্রমণের পরেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও আপনাদের দেখতে এলেন না! যেখানে শিশু পর্যন্ত দুষ্কৃতীদের নাম জানে, সেখানে পুলিশ না কি তাদের চিনতে পারছে না!” মীনাক্ষির হুঁশিয়ারি, “রাজ্য ব্যবস্থা না নিলে কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু কমিশন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ও প্রধানমন্ত্রীকে রিপোর্ট দিতে বাধ্য হব।”

এক সময়ে সিপিএমের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত সন্দেশখালিতে এখন বেশির ভাগ এলাকাতেই তৃণমূলের প্রতাপ। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে হালদারঘেরি পাড়ার দু’টি বুথে   এগিয়ে ছিল বিজেপি। স্থানীয় সূত্রের খবর, গ্রামের সিপিএম সমর্থকদের বড় অংশ এ বার বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন। সেই আক্রোশে তৃণমূল হামলা করছে। গ্রামের ছায়া সর্দার নিজের বছর তিনেকের মেয়ে প্রিয়াকে দেখিয়ে অভিযোগ করেন, “বাড়িতে ঢুকে ওরা (তৃণমূলের দুষ্কৃতী) আমার স্বামী তপনকে গুলি করল। মেয়েকে লাথি মেরে জলে ফেলে দিল। আমায় ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলল। হুমকি দিচ্ছে, তৃণমূল না করলে গ্রামছাড়া করবে। আতঙ্কে বাইরে বেরোতে পারছি না।’

শুধু সন্দেশখালি নয়, রাজ্যের বহু জায়গাতেই এখন এই একই অভিযোগ উঠছে। অর্থাৎ সিপিএম ছেড়ে বিজেপি করার ঝোঁক আর তা রুখতে তৃণমূলের হুমকি-মারধর। এ দিনই পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা ব্লকের দুজিপুরে সিপিএমের তিন লোকাল সদস্যের বাড়িতে ভাঙচুর হয়। তাঁদের দাবি, দলের নেতারা নিরাপত্তা দিতে না পারায় তাঁরা বিজেপির দিকে ঝুঁকেছেন। কিন্তু কেন তাঁরা তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন না, সেই প্রশ্ন তুলে তাঁদের মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। এর আগে বর্ধমানেও প্রায় একই ঘটনা ঘটেছে।

কাদা পথ পেরিয়ে। সন্দেশখালির হালদারঘেরিতে আক্রান্ত কর্মী-সমর্থকদের
সঙ্গে দেখা করে ফেরার পথে বিজেপির প্রতিনিধিদল। ছবি: নির্মল বসু

গত বিধানসভা ভোটে বিপর্যয়ের পর থেকে সিপিএম যেখানে প্রায় ঘরে ঢুকে গিয়েছে, দলের সাধারণ কর্মীরা বড় নেতাদের পাশে না পেয়ে ক্ষুব্ধ, সেখানে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে কেন্দ্রে সরকার গড়ার পরে বিজেপির আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে। এই প্রথম এ রাজ্যে সাফল্যের গন্ধ পেয়ে সামান্য সুযোগও হাতছাড়া করতে চাইছেন না নেতারা। বক্তব্যের সুরও তাই চড়া। এ দিন আক্রান্তদের কথা শুনতে-শুনতেই সদ্য আসানসোল থেকে জিতে আসা বাবুল সুপ্রিয় বলে ওঠেন, “আপনারা রুখে দাঁড়ান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে রুখে দাঁড়ালে ওরা পালানোর পথ পাবে না।”

অহলুওয়ালিয়াও বলেন, “দিন ঘুরছে, পরিবর্তন অন্য খাতে হচ্ছে। আপনারা মাথা তুলে দাঁড়ান।” রাহুল সিংহের দাবি, “তৃণমূল নেত্রী বুঝেছেন, বিজেপি আগামী দিনের বিকল্প। তাতেই তৃণমূলের ঘুম ছুটে গিয়েছে। ২০১৬ সালে লোক-ঠকানো এই সরকারকে বদল করতে হবে।”

মোদী-ঝড়েও যাঁর খাসতালুক মুর্শিদাবাদে বিজেপি বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি, সেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও এ দিন প্রায় বিজেপির সুরেই তৃণমূলকে আক্রমণ করেছেন। বহরমপুরে অধীর বলেন, “বামপন্থীরা ৩৪ বছর যে সন্ত্রাসের রাজত্ব চালিয়েছিল, তৃণমূল সরকার তার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমেছে। বিজেপির সঙ্গে আমাদের রাজনৈতিক লড়াই। কিন্তু বাংলায় সন্ত্রাস প্রসঙ্গে বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য তো আমি অস্বীকার করতে পারি না। আমরাও তো সন্দেশখালির ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছি।” তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় অবশ্য অভিযোগ উড়িয়ে দাবি করেন, দেশে এক মাত্র বাংলাতেই ‘গণতান্ত্রিক পরিবেশ’ রয়েছে। তাঁর কথায়, “রাজ্যে সন্ত্রাস নেই। বরং তৃণমূলের লোকেরা আক্রান্ত হচ্ছেন এবং খুন হচ্ছেন।”

বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব এ দিন গোসাবার ছোট মোল্লাখালির পশ্চিম রাধানগর গ্রামে আক্রান্ত বিজেপি সমর্থক সুকুমার মণ্ডলের বাড়িতেও যান। সন্দেশখালিতে গুলিতে জখম ১৩ জনের চিকিৎসা চলছে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে। বিকেলে হাসপাতালে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। মীনাক্ষি অভিযোগ করেন, গুলিতে জখমদের চিকিৎসাও ভাল করে হচ্ছে না। দিল্লিতে ফিরে গিয়ে বিজেপি সভাপতি রাজনাথ সিংহের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট দেওয়া হবে। নকভি বলেন, “এই জুলুমের হিসেব দিতে হবে রাজ্য সরকারকে।”

কেমন যাবে আজকের দিন, রাশিফল: ১ জুন, ২০১৪


কেমন যাবে আজকের দিন, রাশিফল: ১ জুন, ২০১৪

rashifol

আজ ১ জুন৷ এই তারিখে জন্মগ্রহণ করায় পাশ্চাত্যমতে আপনি মিথুন রাশির জাতক-জাতিকা। আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংখ্যা ১ ও ৫। গুরুত্বপূর্ণ দিন রবি ও বুধবার।শুভ রং—হালকা নীল, সোনালি, ধূসর। শুভ রত্ন—রুবি, পান্না। বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব—মেরিলিন মনরো, কবি আবদুল কাদির, জ্যোতিষী মো. আনিসুল হক। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক আপনার রাশিতে আজকের পূর্বাভাস:

মেষ (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল) : ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে তেজিভাব বিরাজ করবে। সৃজনশীল পেশায় আপনার সুনাম অন্যের ঈর্ষার কারণ হতে পারে। ভালো লাগার মানুষটি আজ ভালোবাসার মানুষের পরিণত হতে পারে। রাজনৈতিক তৎপরতা শুভ।

বৃষ (২১ এপ্রিল-২১ মে): বেকারদের কারও কারও জন্য দিনের দ্বিতীয়ার্ধে সুখবর অপেক্ষা করছে। সৃজনশীল পেশায় সুনাম ছড়িয়ে পড়বে। ব্যবসায়ে আগের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাবেন। প্রেমের ক্ষেত্রে ইতিবাচক সাড়া পাবেন।

মিথুন (২২ মে-২১ জুন): ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডের সুবাদে বিদেশযাত্রার সুযোগ আসতে পারে। ফেসবুকে কারও দেওয়া তথ্য প্রেমের ব্যাপারে আপনাকে আগ্রহী করে তুলতে পারে। দূরের যাত্রা শুভ। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে থাকুন।

কর্কট (২২ জুন-২২ জুলাই): চাকরির জন্য বিদেশে আবেদন করে কেউ কেউ ইতিবাচক সাড়া পেতে পারেন। যৌথ বিনিয়োগ শুভ। পারিবারিক সমস্যার সমাধানে আপনার উদ্যোগ ফলপ্রসূ হতে পারে। আর্থিক লেনদেন শুভ।

সিংহ (২৩ জুলাই-২৩ আগস্ট):  বেকারদের কারও কারও জন্য আজ সুখবর আছে। ব্যবসায়িক চুক্তি সম্পাদনের জন্য দিনটি শুভ। হারিয়ে যাওয়া মূল্যবান জিনিস খুঁজে পেতে পারেন। প্রেমে সাফল্যের দেখা পাবেন। দূরের যাত্রা শুভ।

কন্যা (২৪ আগস্ট-২৩ সেপ্টেম্বর) : কর্মস্থলে প্রতিপক্ষের বিরোধিতা সত্ত্বেও গুরুত্বপূর্ণ কাজে সাফল্যের দেখা পাবেন। সৃজনশীল পেশায় সুনাম ছড়িয়ে পড়বে। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে থাকুন। প্রেমে সাফল্যের সম্ভাবনা আছে। রাজনৈতিক তৎপরতা শুভ।

তুলা (২৪ সেপ্টেম্বর-২৩ অক্টোবর): ব্যবসায়ে ঝঁুকি গ্রহণ করে লাভবান হতে পারেন। পছন্দের মানুষটিকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েই দেখুন না, কথা দিচ্ছি, আজ আপনাকে হতাশ হতে হবে না। দূরের যাত্রায় সতর্ক থাকুন। আর্থিক লেনদেনে লাভবান হবেন।

বৃশ্চিক (২৪ অক্টোবর-২২ নভেম্বর): ফাটকা ব্যবসায়ে বিনিয়োগের মাধ্যমে লাভবান হতে পারেন। যৌথ বিনিয়োগ শুভ। পারিবারিক দ্বন্দ্বের অবসান হবে। ফেসবুকে কারও সঙ্গে মতবিনিময় থেকে প্রেমের শুভসূচনা হতে পারে। দূরের যাত্রা শুভ।

ধনু (২৩ নভেম্বর-২১ ডিসেম্বর): দিনটি শুরু হতে পারে প্রিয়জনের কাছ থেকে পাওয়া কোনো সুসংবাদ দিয়ে। ভেঙে যাওয়া প্রেমের সম্পর্ক জোড়া লাগতে পারে। সৃজনশীল পেশায় আপনার সুনাম অন্যের ঈর্ষার কারণ হতে পারে। স্বাস্থ্য ভালো যাবে।

মকর (২২ ডিসেম্বর-২০ জানুয়ারি): শিক্ষার্থীদের কারও কারও শিক্ষাসফরের সম্ভাবনা আছে। বিদেশযাত্রার ক্ষেত্রে নতুন সুযোগ আসতে পারে। ব্যর্থ প্রেমের সম্পর্কে নতুন সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে। সৃজনশীল কাজের জন্য প্রশংসিত হবেন।

কুম্ভ (২১ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি): শিল্পকলায় অবদানের জন্য সম্মাননা পেতে পারেন। যৌথ বিনিয়োগ শুভ। পাওনা আদায়ে অন্যের সহযোগিতা পেতে পারেন। প্রেমের ক্ষেত্রে আগের ব্যর্থতা ঘুচতে পারে। কোনো আইনি সমস্যার সমাধান হতে পারে।

মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ): দিনের শুরুতেই আর্থিক বিষয়ে কোনো সুখবর পেতে পারেন। যেকোনো চুক্তি সম্পাদনের জন্য দিনটি শুভ। পারিবারিক দ্বন্দ্বের অবসান হবে। প্রেমের ঝোড়ো হাওয়া আজ কারও কারও মনকে নাড়া দিতে পারে।

bangal news26.com