বর্তমানে নারীরা পুরুষের কাছে কি চায়


বর্তমানে নারীরা পুরুষের কাছে কি চায়

womanঢাকা: কিছুদিন আগেও নারীরা কেবল সুন্দর দেহ অবয়বের পুরুষ চাইত। কিন্তু বর্তমানে সুন্দর দেহ অবয়বের পাশাপাশি নারীরা উদার মনের ভালো রান্না করতে পারে এমন পুরুষদের কে পছন্দ করেন।

সম্প্রতি ম্যাটেরিয়াল নামক একটি ওয়েবসাইটে জরিপে উঠে আসে ৫১.৯ শতাংশ নারী বলেন যেসব পুরুষেরা ঘরের কাজে সাহায্য করেন সেসব পুরুষদের পছন্দ করেন। ৩৯.৫ শতাংশ নারীরা পছন্দ করেন রান্নায় পারদর্শী এমন পুরুষদের।

জরিপে আরো উঠে আসে, বর্তমান যুগে নারীরা যেমন কথাবার্তায়, পোশাক-আশাক, আচার-আচরণে যেমন স্মার্ট তারা তাদের জীবনসঙ্গীকেও তেমন স্মার্ট চায়। অর্থনৈতিক দিক দিয়ে স্বাবলম্বী, মায়ের সঙ্গে কখনো বউকে তুলনা করবে না, পর্যাপ্ত পরিমানে সময় দেবে,বিয়ের পর পরই সন্তান নেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করবে না সেসব পুরুষ নারীর পছন্দের তালিকায় শীর্ষে। এছাড়া যে পুরুষেরা স্ত্রীর ক্যারিয়ারের প্রতি যথেষ্ট পরিমানে শ্রদ্ধাশীল ও সচেতন তেমন পুরুষদেরকে নারীরা জীবনসঙ্গী হিসেবে পেতে চায়।

18

 

18

 

0

Google +

0

 

0

 

প্রিন্ট

শামীম ওসমান কী অচিরেই মন্ত্রী হচ্ছেন!

২০১৪ জুন ০৫ ০০:১১:৫৭

শামীম ওসমান কী অচিরেই মন্ত্রী হচ্ছেন!

জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশনে মরহুম সংসদ সদস্য এ কে এম নাসিম ওসমানের অকাল মৃত্যুতে শোক প্রস্তাবের ওপর দীর্ঘ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। পিনপতন নিরবতায় সহকর্মী মরহুম সংসদ সদস্যের কর্মময় জীবনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে সবাই আবেগপ্রবন হয়ে পড়েন। মরহুমের অনুজ একেএম শামীম ওসমানও অশ্রুশিক্ত নয়নে আবেগময় বক্তব্য রাখেন। নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমানকে অচিরেই মন্ত্রীপরিষদেরর সদস্য করা হতে পারে। শামীম ওসমানের অগ্রজ এ কে এম নাসিম ওসমানের অকালমৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমবেদনার নিদর্শন স্বরূপ শামীম ওসমান মন্ত্রীত্ব পেতে পারেন বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

অশ্রুসজল সংসদনেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার অত্যন্ত স্নেহভাজন নাসিম ওসমানের মৃত্যু আমাকে এতটাই মর্মাহত করেছে যে, আমি কিছুক্ষণ বাকরুদ্ধ থাকি। ইন্ডিয়া যাওয়ার কয়েকদিন আগে আমার সঙ্গে দেখা করে গেছে। আমি নাসিম ওসমানের হাতে সেসময় একটি কোরআন শরীফ তুলে দেই। আওয়ামী লীগের সঙ্গে ওসমান পরিবারের রক্তের সম্পর্ক। ওর বাবা জোহা সাহেবকে আমি চাচা ডাকতাম। চাচি বেঁচে থাকতে নাসিম মারা গেলেন।

এ শোক ‘মা’ কি করে সহ্য করছেন আমি উপলব্ধি করি। বিয়ের পর পর নাসিম ওসমান বঙ্গবন্ধু হত্যার বদলা নিতে ভারতে পাড়ি জমিয়েছিল। আওয়ামী লীগের শক্তিকে দুর্বল করতেই কিছু হলেই ওসমান পরিবারের নামে অপপ্রচার চালানো হয়। জোহা চাচা ছিলেন বাবার অত্যন্ত ঘনিষ্ট নিবেদিত প্রাণ। প্রধানমন্ত্রী সংসদকে আশ্বস্ত করে বলেন, এ পরিবারের অবদানের মূল্য অবশ্যই দেয়া হবে। আমার সুদৃষ্টি অব্যহত থাকবে।’ প্রধানমন্ত্রীর সহানুভূতিপূর্ণ ভাষণ পর্যালোচনা করে কেও কেও বলছেন, শামীম ওসমানের আশা পূরণ দ্বারপ্রান্তে।

উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জবাসীর দীর্ঘদিনের দাবী নারায়ণগঞ্জ থেকে ন্যুনতম একজনকে মন্ত্রীপরিষদেরর সদস্য করা হোক। নাসিম ওসমানের অকালমৃত্যু শামীম ওসমানের মন্ত্রী হওয়ার পথকে সুগম করেছে বলে পর্যবেক্ষকদের বিশ্বাস।

ওসমান পরিবারকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মূল্যায়ন ও বক্তব্যের অংশবিশেষ

রাজনীতি করতে এসে অপরাধ করেনি এমন কেউ নেই। কিন্তু কিছু কিছু পরিবারকে মহল বিশেষ টার্গেট করে অপপ্রচার করে। অনেকে অনেক বড় অপরাধ করলেও তা লেখা হয় না, অনেকের দোষ চোখে পড়ে না। আবার কেউ সামান্য কিছু করলেই সেটি বড় করে দেখানো হয়। তবে কেউ অন্যায় করলে তার বিচার হবে। আইন তার নিজস্ব গতিতেই চলবে। তবে কেউ যদি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে কাউকে বা কোন পরিবারকে হেয় করতে চায় এ ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন ও আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে নারায়ণগঞ্জের ‘ওসমান’ পরিবারের অবদানের কথা স্মরণ করে এসব কথা বলেন।

৩ জুন মঙ্গলবার বিকেলে দশম জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অর্থাৎ বাজেট অধিবেশনের শুরুর দিন এই সংসদেরই নির্বাচিত জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য নাসিম ওসমানের মৃত্যুতে উত্থাপিত শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের পরিবারের সঙ্গে ওসমান পরিবারের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। কারণ আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠাই হয়েছিল ওসমান পরিবারে।

সেই ওসমান পরিবারের বড় ছেলে সদ্যপ্রয়াত জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য নাসিম ওসমানের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনককে সপরিবারে হত্যার একদিন আগে ১৪ আগস্ট বিয়ে করেছিল নাসিম ওসমান। সেই বিয়েতে আমার ভাই শেখ কামালসহ অনেকেই গিয়েছিল। পরদিন বঙ্গবন্ধু হত্যার খবর শুনে নবপরিণিতা স্ত্রীসহ পরিবারের কারোর দিকে তাকায়নি নাসিম। বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিশোধ নিতে সবাইকে ছেড়ে ঢাকায় প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করে এবং পরে ভারতে গিয়ে খুনিদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে সবাইকে সংঘটিত করার চেষ্টা করে।

নিউজ ডেস্ক
অলনিউজবিডি।

– See more at: http://www.allnewsbd.com/bn/article/3715/#sthash.3N9dp3jC.dpuf

18

 

18

 

0

Google +

0

 

0

 

প্রিন্ট

শামীম ওসমান কী অচিরেই মন্ত্রী হচ্ছেন!

২০১৪ জুন ০৫ ০০:১১:৫৭

শামীম ওসমান কী অচিরেই মন্ত্রী হচ্ছেন!

জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশনে মরহুম সংসদ সদস্য এ কে এম নাসিম ওসমানের অকাল মৃত্যুতে শোক প্রস্তাবের ওপর দীর্ঘ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। পিনপতন নিরবতায় সহকর্মী মরহুম সংসদ সদস্যের কর্মময় জীবনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে সবাই আবেগপ্রবন হয়ে পড়েন। মরহুমের অনুজ একেএম শামীম ওসমানও অশ্রুশিক্ত নয়নে আবেগময় বক্তব্য রাখেন। নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমানকে অচিরেই মন্ত্রীপরিষদেরর সদস্য করা হতে পারে। শামীম ওসমানের অগ্রজ এ কে এম নাসিম ওসমানের অকালমৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমবেদনার নিদর্শন স্বরূপ শামীম ওসমান মন্ত্রীত্ব পেতে পারেন বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

অশ্রুসজল সংসদনেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার অত্যন্ত স্নেহভাজন নাসিম ওসমানের মৃত্যু আমাকে এতটাই মর্মাহত করেছে যে, আমি কিছুক্ষণ বাকরুদ্ধ থাকি। ইন্ডিয়া যাওয়ার কয়েকদিন আগে আমার সঙ্গে দেখা করে গেছে। আমি নাসিম ওসমানের হাতে সেসময় একটি কোরআন শরীফ তুলে দেই। আওয়ামী লীগের সঙ্গে ওসমান পরিবারের রক্তের সম্পর্ক। ওর বাবা জোহা সাহেবকে আমি চাচা ডাকতাম। চাচি বেঁচে থাকতে নাসিম মারা গেলেন।

এ শোক ‘মা’ কি করে সহ্য করছেন আমি উপলব্ধি করি। বিয়ের পর পর নাসিম ওসমান বঙ্গবন্ধু হত্যার বদলা নিতে ভারতে পাড়ি জমিয়েছিল। আওয়ামী লীগের শক্তিকে দুর্বল করতেই কিছু হলেই ওসমান পরিবারের নামে অপপ্রচার চালানো হয়। জোহা চাচা ছিলেন বাবার অত্যন্ত ঘনিষ্ট নিবেদিত প্রাণ। প্রধানমন্ত্রী সংসদকে আশ্বস্ত করে বলেন, এ পরিবারের অবদানের মূল্য অবশ্যই দেয়া হবে। আমার সুদৃষ্টি অব্যহত থাকবে।’ প্রধানমন্ত্রীর সহানুভূতিপূর্ণ ভাষণ পর্যালোচনা করে কেও কেও বলছেন, শামীম ওসমানের আশা পূরণ দ্বারপ্রান্তে।

উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জবাসীর দীর্ঘদিনের দাবী নারায়ণগঞ্জ থেকে ন্যুনতম একজনকে মন্ত্রীপরিষদেরর সদস্য করা হোক। নাসিম ওসমানের অকালমৃত্যু শামীম ওসমানের মন্ত্রী হওয়ার পথকে সুগম করেছে বলে পর্যবেক্ষকদের বিশ্বাস।

ওসমান পরিবারকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মূল্যায়ন ও বক্তব্যের অংশবিশেষ

রাজনীতি করতে এসে অপরাধ করেনি এমন কেউ নেই। কিন্তু কিছু কিছু পরিবারকে মহল বিশেষ টার্গেট করে অপপ্রচার করে। অনেকে অনেক বড় অপরাধ করলেও তা লেখা হয় না, অনেকের দোষ চোখে পড়ে না। আবার কেউ সামান্য কিছু করলেই সেটি বড় করে দেখানো হয়। তবে কেউ অন্যায় করলে তার বিচার হবে। আইন তার নিজস্ব গতিতেই চলবে। তবে কেউ যদি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে কাউকে বা কোন পরিবারকে হেয় করতে চায় এ ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন ও আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে নারায়ণগঞ্জের ‘ওসমান’ পরিবারের অবদানের কথা স্মরণ করে এসব কথা বলেন।

৩ জুন মঙ্গলবার বিকেলে দশম জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অর্থাৎ বাজেট অধিবেশনের শুরুর দিন এই সংসদেরই নির্বাচিত জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য নাসিম ওসমানের মৃত্যুতে উত্থাপিত শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের পরিবারের সঙ্গে ওসমান পরিবারের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। কারণ আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠাই হয়েছিল ওসমান পরিবারে।

সেই ওসমান পরিবারের বড় ছেলে সদ্যপ্রয়াত জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য নাসিম ওসমানের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনককে সপরিবারে হত্যার একদিন আগে ১৪ আগস্ট বিয়ে করেছিল নাসিম ওসমান। সেই বিয়েতে আমার ভাই শেখ কামালসহ অনেকেই গিয়েছিল। পরদিন বঙ্গবন্ধু হত্যার খবর শুনে নবপরিণিতা স্ত্রীসহ পরিবারের কারোর দিকে তাকায়নি নাসিম। বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিশোধ নিতে সবাইকে ছেড়ে ঢাকায় প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করে এবং পরে ভারতে গিয়ে খুনিদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে সবাইকে সংঘটিত করার চেষ্টা করে।

নিউজ ডেস্ক
অলনিউজবিডি।

– See more at: http://www.allnewsbd.com/bn/article/3715/#sthash.3N9dp3jC.dpuf

18

 

18

 

0

Google +

0

 

0

 

প্রিন্ট

শামীম ওসমান কী অচিরেই মন্ত্রী হচ্ছেন!

২০১৪ জুন ০৫ ০০:১১:৫৭

শামীম ওসমান কী অচিরেই মন্ত্রী হচ্ছেন!

জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশনে মরহুম সংসদ সদস্য এ কে এম নাসিম ওসমানের অকাল মৃত্যুতে শোক প্রস্তাবের ওপর দীর্ঘ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। পিনপতন নিরবতায় সহকর্মী মরহুম সংসদ সদস্যের কর্মময় জীবনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে সবাই আবেগপ্রবন হয়ে পড়েন। মরহুমের অনুজ একেএম শামীম ওসমানও অশ্রুশিক্ত নয়নে আবেগময় বক্তব্য রাখেন। নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমানকে অচিরেই মন্ত্রীপরিষদেরর সদস্য করা হতে পারে। শামীম ওসমানের অগ্রজ এ কে এম নাসিম ওসমানের অকালমৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমবেদনার নিদর্শন স্বরূপ শামীম ওসমান মন্ত্রীত্ব পেতে পারেন বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

অশ্রুসজল সংসদনেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার অত্যন্ত স্নেহভাজন নাসিম ওসমানের মৃত্যু আমাকে এতটাই মর্মাহত করেছে যে, আমি কিছুক্ষণ বাকরুদ্ধ থাকি। ইন্ডিয়া যাওয়ার কয়েকদিন আগে আমার সঙ্গে দেখা করে গেছে। আমি নাসিম ওসমানের হাতে সেসময় একটি কোরআন শরীফ তুলে দেই। আওয়ামী লীগের সঙ্গে ওসমান পরিবারের রক্তের সম্পর্ক। ওর বাবা জোহা সাহেবকে আমি চাচা ডাকতাম। চাচি বেঁচে থাকতে নাসিম মারা গেলেন।

এ শোক ‘মা’ কি করে সহ্য করছেন আমি উপলব্ধি করি। বিয়ের পর পর নাসিম ওসমান বঙ্গবন্ধু হত্যার বদলা নিতে ভারতে পাড়ি জমিয়েছিল। আওয়ামী লীগের শক্তিকে দুর্বল করতেই কিছু হলেই ওসমান পরিবারের নামে অপপ্রচার চালানো হয়। জোহা চাচা ছিলেন বাবার অত্যন্ত ঘনিষ্ট নিবেদিত প্রাণ। প্রধানমন্ত্রী সংসদকে আশ্বস্ত করে বলেন, এ পরিবারের অবদানের মূল্য অবশ্যই দেয়া হবে। আমার সুদৃষ্টি অব্যহত থাকবে।’ প্রধানমন্ত্রীর সহানুভূতিপূর্ণ ভাষণ পর্যালোচনা করে কেও কেও বলছেন, শামীম ওসমানের আশা পূরণ দ্বারপ্রান্তে।

উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জবাসীর দীর্ঘদিনের দাবী নারায়ণগঞ্জ থেকে ন্যুনতম একজনকে মন্ত্রীপরিষদেরর সদস্য করা হোক। নাসিম ওসমানের অকালমৃত্যু শামীম ওসমানের মন্ত্রী হওয়ার পথকে সুগম করেছে বলে পর্যবেক্ষকদের বিশ্বাস।

ওসমান পরিবারকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মূল্যায়ন ও বক্তব্যের অংশবিশেষ

রাজনীতি করতে এসে অপরাধ করেনি এমন কেউ নেই। কিন্তু কিছু কিছু পরিবারকে মহল বিশেষ টার্গেট করে অপপ্রচার করে। অনেকে অনেক বড় অপরাধ করলেও তা লেখা হয় না, অনেকের দোষ চোখে পড়ে না। আবার কেউ সামান্য কিছু করলেই সেটি বড় করে দেখানো হয়। তবে কেউ অন্যায় করলে তার বিচার হবে। আইন তার নিজস্ব গতিতেই চলবে। তবে কেউ যদি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে কাউকে বা কোন পরিবারকে হেয় করতে চায় এ ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন ও আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে নারায়ণগঞ্জের ‘ওসমান’ পরিবারের অবদানের কথা স্মরণ করে এসব কথা বলেন।

৩ জুন মঙ্গলবার বিকেলে দশম জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অর্থাৎ বাজেট অধিবেশনের শুরুর দিন এই সংসদেরই নির্বাচিত জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য নাসিম ওসমানের মৃত্যুতে উত্থাপিত শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের পরিবারের সঙ্গে ওসমান পরিবারের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। কারণ আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠাই হয়েছিল ওসমান পরিবারে।

সেই ওসমান পরিবারের বড় ছেলে সদ্যপ্রয়াত জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য নাসিম ওসমানের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনককে সপরিবারে হত্যার একদিন আগে ১৪ আগস্ট বিয়ে করেছিল নাসিম ওসমান। সেই বিয়েতে আমার ভাই শেখ কামালসহ অনেকেই গিয়েছিল। পরদিন বঙ্গবন্ধু হত্যার খবর শুনে নবপরিণিতা স্ত্রীসহ পরিবারের কারোর দিকে তাকায়নি নাসিম। বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিশোধ নিতে সবাইকে ছেড়ে ঢাকায় প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করে এবং পরে ভারতে গিয়ে খুনিদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে সবাইকে সংঘটিত করার চেষ্টা করে।

নিউজ ডেস্ক
অলনিউজবিডি।

– See more at: http://www.allnewsbd.com/bn/article/3715/#sthash.3N9dp3jC.dpuf

18

 

18

 

0

Google +

0

 

0

 

প্রিন্ট

শামীম ওসমান কী অচিরেই মন্ত্রী হচ্ছেন!

২০১৪ জুন ০৫ ০০:১১:৫৭

শামীম ওসমান কী অচিরেই মন্ত্রী হচ্ছেন!

জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশনে মরহুম সংসদ সদস্য এ কে এম নাসিম ওসমানের অকাল মৃত্যুতে শোক প্রস্তাবের ওপর দীর্ঘ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। পিনপতন নিরবতায় সহকর্মী মরহুম সংসদ সদস্যের কর্মময় জীবনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে সবাই আবেগপ্রবন হয়ে পড়েন। মরহুমের অনুজ একেএম শামীম ওসমানও অশ্রুশিক্ত নয়নে আবেগময় বক্তব্য রাখেন। নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমানকে অচিরেই মন্ত্রীপরিষদেরর সদস্য করা হতে পারে। শামীম ওসমানের অগ্রজ এ কে এম নাসিম ওসমানের অকালমৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমবেদনার নিদর্শন স্বরূপ শামীম ওসমান মন্ত্রীত্ব পেতে পারেন বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

অশ্রুসজল সংসদনেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার অত্যন্ত স্নেহভাজন নাসিম ওসমানের মৃত্যু আমাকে এতটাই মর্মাহত করেছে যে, আমি কিছুক্ষণ বাকরুদ্ধ থাকি। ইন্ডিয়া যাওয়ার কয়েকদিন আগে আমার সঙ্গে দেখা করে গেছে। আমি নাসিম ওসমানের হাতে সেসময় একটি কোরআন শরীফ তুলে দেই। আওয়ামী লীগের সঙ্গে ওসমান পরিবারের রক্তের সম্পর্ক। ওর বাবা জোহা সাহেবকে আমি চাচা ডাকতাম। চাচি বেঁচে থাকতে নাসিম মারা গেলেন।

এ শোক ‘মা’ কি করে সহ্য করছেন আমি উপলব্ধি করি। বিয়ের পর পর নাসিম ওসমান বঙ্গবন্ধু হত্যার বদলা নিতে ভারতে পাড়ি জমিয়েছিল। আওয়ামী লীগের শক্তিকে দুর্বল করতেই কিছু হলেই ওসমান পরিবারের নামে অপপ্রচার চালানো হয়। জোহা চাচা ছিলেন বাবার অত্যন্ত ঘনিষ্ট নিবেদিত প্রাণ। প্রধানমন্ত্রী সংসদকে আশ্বস্ত করে বলেন, এ পরিবারের অবদানের মূল্য অবশ্যই দেয়া হবে। আমার সুদৃষ্টি অব্যহত থাকবে।’ প্রধানমন্ত্রীর সহানুভূতিপূর্ণ ভাষণ পর্যালোচনা করে কেও কেও বলছেন, শামীম ওসমানের আশা পূরণ দ্বারপ্রান্তে।

উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জবাসীর দীর্ঘদিনের দাবী নারায়ণগঞ্জ থেকে ন্যুনতম একজনকে মন্ত্রীপরিষদেরর সদস্য করা হোক। নাসিম ওসমানের অকালমৃত্যু শামীম ওসমানের মন্ত্রী হওয়ার পথকে সুগম করেছে বলে পর্যবেক্ষকদের বিশ্বাস।

ওসমান পরিবারকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মূল্যায়ন ও বক্তব্যের অংশবিশেষ

রাজনীতি করতে এসে অপরাধ করেনি এমন কেউ নেই। কিন্তু কিছু কিছু পরিবারকে মহল বিশেষ টার্গেট করে অপপ্রচার করে। অনেকে অনেক বড় অপরাধ করলেও তা লেখা হয় না, অনেকের দোষ চোখে পড়ে না। আবার কেউ সামান্য কিছু করলেই সেটি বড় করে দেখানো হয়। তবে কেউ অন্যায় করলে তার বিচার হবে। আইন তার নিজস্ব গতিতেই চলবে। তবে কেউ যদি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে কাউকে বা কোন পরিবারকে হেয় করতে চায় এ ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন ও আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে নারায়ণগঞ্জের ‘ওসমান’ পরিবারের অবদানের কথা স্মরণ করে এসব কথা বলেন।

৩ জুন মঙ্গলবার বিকেলে দশম জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অর্থাৎ বাজেট অধিবেশনের শুরুর দিন এই সংসদেরই নির্বাচিত জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য নাসিম ওসমানের মৃত্যুতে উত্থাপিত শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের পরিবারের সঙ্গে ওসমান পরিবারের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। কারণ আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠাই হয়েছিল ওসমান পরিবারে।

সেই ওসমান পরিবারের বড় ছেলে সদ্যপ্রয়াত জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য নাসিম ওসমানের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনককে সপরিবারে হত্যার একদিন আগে ১৪ আগস্ট বিয়ে করেছিল নাসিম ওসমান। সেই বিয়েতে আমার ভাই শেখ কামালসহ অনেকেই গিয়েছিল। পরদিন বঙ্গবন্ধু হত্যার খবর শুনে নবপরিণিতা স্ত্রীসহ পরিবারের কারোর দিকে তাকায়নি নাসিম। বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিশোধ নিতে সবাইকে ছেড়ে ঢাকায় প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করে এবং পরে ভারতে গিয়ে খুনিদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে সবাইকে সংঘটিত করার চেষ্টা করে।

নিউজ ডেস্ক
অলনিউজবিডি।

– See more at: http://www.allnewsbd.com/bn/article/3715/#sthash.3N9dp3jC.dpuf

18

 

18

 

0

Google +

0

 

0

 

প্রিন্ট

শামীম ওসমান কী অচিরেই মন্ত্রী হচ্ছেন!

২০১৪ জুন ০৫ ০০:১১:৫৭

শামীম ওসমান কী অচিরেই মন্ত্রী হচ্ছেন!

জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশনে মরহুম সংসদ সদস্য এ কে এম নাসিম ওসমানের অকাল মৃত্যুতে শোক প্রস্তাবের ওপর দীর্ঘ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। পিনপতন নিরবতায় সহকর্মী মরহুম সংসদ সদস্যের কর্মময় জীবনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে সবাই আবেগপ্রবন হয়ে পড়েন। মরহুমের অনুজ একেএম শামীম ওসমানও অশ্রুশিক্ত নয়নে আবেগময় বক্তব্য রাখেন। নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমানকে অচিরেই মন্ত্রীপরিষদেরর সদস্য করা হতে পারে। শামীম ওসমানের অগ্রজ এ কে এম নাসিম ওসমানের অকালমৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমবেদনার নিদর্শন স্বরূপ শামীম ওসমান মন্ত্রীত্ব পেতে পারেন বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

অশ্রুসজল সংসদনেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার অত্যন্ত স্নেহভাজন নাসিম ওসমানের মৃত্যু আমাকে এতটাই মর্মাহত করেছে যে, আমি কিছুক্ষণ বাকরুদ্ধ থাকি। ইন্ডিয়া যাওয়ার কয়েকদিন আগে আমার সঙ্গে দেখা করে গেছে। আমি নাসিম ওসমানের হাতে সেসময় একটি কোরআন শরীফ তুলে দেই। আওয়ামী লীগের সঙ্গে ওসমান পরিবারের রক্তের সম্পর্ক। ওর বাবা জোহা সাহেবকে আমি চাচা ডাকতাম। চাচি বেঁচে থাকতে নাসিম মারা গেলেন।

এ শোক ‘মা’ কি করে সহ্য করছেন আমি উপলব্ধি করি। বিয়ের পর পর নাসিম ওসমান বঙ্গবন্ধু হত্যার বদলা নিতে ভারতে পাড়ি জমিয়েছিল। আওয়ামী লীগের শক্তিকে দুর্বল করতেই কিছু হলেই ওসমান পরিবারের নামে অপপ্রচার চালানো হয়। জোহা চাচা ছিলেন বাবার অত্যন্ত ঘনিষ্ট নিবেদিত প্রাণ। প্রধানমন্ত্রী সংসদকে আশ্বস্ত করে বলেন, এ পরিবারের অবদানের মূল্য অবশ্যই দেয়া হবে। আমার সুদৃষ্টি অব্যহত থাকবে।’ প্রধানমন্ত্রীর সহানুভূতিপূর্ণ ভাষণ পর্যালোচনা করে কেও কেও বলছেন, শামীম ওসমানের আশা পূরণ দ্বারপ্রান্তে।

উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জবাসীর দীর্ঘদিনের দাবী নারায়ণগঞ্জ থেকে ন্যুনতম একজনকে মন্ত্রীপরিষদেরর সদস্য করা হোক। নাসিম ওসমানের অকালমৃত্যু শামীম ওসমানের মন্ত্রী হওয়ার পথকে সুগম করেছে বলে পর্যবেক্ষকদের বিশ্বাস।

ওসমান পরিবারকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মূল্যায়ন ও বক্তব্যের অংশবিশেষ

রাজনীতি করতে এসে অপরাধ করেনি এমন কেউ নেই। কিন্তু কিছু কিছু পরিবারকে মহল বিশেষ টার্গেট করে অপপ্রচার করে। অনেকে অনেক বড় অপরাধ করলেও তা লেখা হয় না, অনেকের দোষ চোখে পড়ে না। আবার কেউ সামান্য কিছু করলেই সেটি বড় করে দেখানো হয়। তবে কেউ অন্যায় করলে তার বিচার হবে। আইন তার নিজস্ব গতিতেই চলবে। তবে কেউ যদি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে কাউকে বা কোন পরিবারকে হেয় করতে চায় এ ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন ও আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে নারায়ণগঞ্জের ‘ওসমান’ পরিবারের অবদানের কথা স্মরণ করে এসব কথা বলেন।

৩ জুন মঙ্গলবার বিকেলে দশম জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অর্থাৎ বাজেট অধিবেশনের শুরুর দিন এই সংসদেরই নির্বাচিত জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য নাসিম ওসমানের মৃত্যুতে উত্থাপিত শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের পরিবারের সঙ্গে ওসমান পরিবারের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। কারণ আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠাই হয়েছিল ওসমান পরিবারে।

সেই ওসমান পরিবারের বড় ছেলে সদ্যপ্রয়াত জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য নাসিম ওসমানের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনককে সপরিবারে হত্যার একদিন আগে ১৪ আগস্ট বিয়ে করেছিল নাসিম ওসমান। সেই বিয়েতে আমার ভাই শেখ কামালসহ অনেকেই গিয়েছিল। পরদিন বঙ্গবন্ধু হত্যার খবর শুনে নবপরিণিতা স্ত্রীসহ পরিবারের কারোর দিকে তাকায়নি নাসিম। বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিশোধ নিতে সবাইকে ছেড়ে ঢাকায় প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করে এবং পরে ভারতে গিয়ে খুনিদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে সবাইকে সংঘটিত করার চেষ্টা করে।

নিউজ ডেস্ক
অলনিউজবিডি।

– See more at: http://www.allnewsbd.com/bn/article/3715/#sthash.3N9dp3jC.dpuf

শবে বরাত ও এর দলীল ভিত্তিক প্রমাণ


শবে বরাত ও এর দলীল ভিত্তিক প্রমাণ

mosgid

মোঃ রফিকুল ইসলাম

১৪ই শা’বান দিবাগত রাতটি হচ্ছে পবিত্র শবে বরাত বা বরাতের রাত্র। কিন্তু অনেকে বলে থাকে কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ এর কোথাও শবে বরাত বলে কোনো শব্দ নেই। শবে বরাত বিরোধীদের এরূপ জিহালতপূর্ণ বক্তব্যের জবাবে বলতে হয় যে, শবে বরাত শব্দ দু’টি যেরূপ কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ এর কোথাও নেই তদ্রূপ নামায, রোযা, খোদা,ফেরেশতা, পীর ইত্যাদি শব্দ কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ এর কোথাও নেই। এখন শবে বরাত বিরোধী লোকেরা কি নামায, রোযা ইত্যাদি শব্দ কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ এ না থাকার কারনে ছেড়ে দিবে? খোদা, ফেরেশতা ইত্যাদি শব্দ কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ এ না থাকার কারনে মহান আল্লাহ পাক ও ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে অস্বীকার করবে? মূলত শবে বরাত, নামায, রোযা , খোদা ,ফেরেশতা , পীর ইত্যাদি ফার্সী ভাষা হিসেবে ব্যবহৃত। ফার্সী শব অর্থ রাত্রি এবং বরাত অর্থ ভাগ্য বা মুক্তি। সুতরাং শবে বরাত মানে হল ভাগ্য রজনী বা মুক্তির রাত।

মূলতঃ শবে বরাত এবং এর ফযীলত কুরআন শরীফ এ আয়াত শরীফ এবং অসংখ্য হাদীছ শরীফ দ্বারা প্রমাণিত। কুরআন শরীফ এ শবে বরাতকে লাইলাতুম মুবারাকাহ বা বরকতময় রাত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আর হাদীছ শরীফ এ শবে বরাতকে লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান বা শা’বান মাসের মধ্য রাত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ এ ইরশাদ করেন, অর্থঃ শপথ প্রকাশ্য কিতাবের! নিশ্চয়ই আমি বরকতময় রজনীতে কুরআন নাযিল করেছি। নিশ্চয়ই আমিই সতর্ককারী। আমারই নির্দেশক্রমে উক্ত রাত্রিতে প্রতিটি প্রজ্ঞাময় বিষয়গুলো ফায়সালা হয়। আর নিশ্চয়ই আমিই প্রেরণকারী।” (সূরা দু’খান, আয়াত শরীফ ২-৫)

কেউ কেউ বলে থাকে যে, “সূরা দু’খানের উল্লেখিত আয়াত শরীফ দ্বারা শবে ক্বদর-কে বুঝানো হয়েছে। কেননা উক্ত আয়াত শরীফ এ সুস্পষ্টই উল্লেখ আছে যে, নিশ্চয়ই আমি বরকতময় রজনীতে কুরআন নাযিল করেছি……..। আর কুরআন শরীফ যে ক্বদরের রাতে নাযিল করা হয়েছে তা সূরা ক্বদরেও উল্লেখ আছে ।”

এ প্রসঙ্গে মুফাসসির কুল শিরোমণি রঈসুল মুফাসসিরীন বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি স্বীয় তাফসীরে উল্লেখ করেন,” মহান আল্লাহ পাক তিনি লাইলাতুম মুবারাকাহ বলতে শা’বান মাসের মধ্য রাত বা শবে বরাতকে বুঝিয়েছেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি এ রাতে প্রজ্ঞাময় বিষয়গুলোর ফায়সালা করে থাকেন।” (ছফওয়াতুত তাফাসীর, তাফসীরে খাযীন ৪র্থ খন্ডঃ ১১২ পৃষ্ঠা, তাফসীরে ইবনে আব্বাস,তাফসীরে মাযহারী ৮ম খন্ডঃ ৩৬৮ পৃষ্ঠা, তাফসীরে মাযহারী ১০ম খন্ড, তাফসীরে ইবনে কাছীর, তাফসীরে খাযিন, বাগবী, কুরতুবী, কবীর, রুহুল বয়ান, আবী সাউদ, বাইযাবী, দূররে মানছূর, জালালাইন, কামলালাইন, তাবারী, লুবাব, নাযমুদ দুরার, মাদারিক)

লাইলাতুম মুবারাকাহ দ্বারা শবে বরাতকে বুঝানো হয়েছে তার যথার্থ প্রমাণ সূরা দু’খানের ৪ নম্বর আয়াত শরীফ فِيهَا يُفْرَقُ كُلُّ أَمْرٍ حَكِيمٍ। এই আয়াত শরীফ এর يُفْرَقُ শব্দের অর্থ ফায়সালা করা। প্রায় সমস্ত তাফসীরে সকল মুফাসসিরীনে কিরামগণ يُفْرَقُ (ইয়ুফরাকু) শব্দের তাফসীর করেছেন ইয়ুকতাবু অর্থাৎ লেখা হয়, ইয়ুফাছছিলু অর্থাৎ ফায়সালা করা হয়, ইয়ুতাজাও ওয়াযূ অর্থাৎ বন্টন বা নির্ধারণ করা হয়, ইয়ুবাররেমু অর্থাৎ বাজেট করা হয়, ইয়ুকদ্বিয়ু অর্থাৎ নির্দেশনা দেওয়া হয় । কাজেই ইয়ুফরাকু -র অর্থ ও তার ব্যাখার মাধ্যমে আরো স্পষ্টভাবে বুঝা যায় যে, লাইলাতুম মুবারাকাহ দ্বারা শবে বরাত বা ভাগ্য রজনীকে বুঝানো হয়েছে। যেই রাত্রিতে সমস্ত মাখলুকাতের ভাগ্যগুলো সামনের এক বছরের জন্য লিপিবদ্ধ করা হয়, আর সেই ভাগ্যলিপি অনুসারে রমাদ্বান মাসের লাইলাতুল ক্বদর বা শবে ক্বদরে তা চালু হয়। এজন্য শবে বরাতকে লাইলাতুত্ তাজবীজ অর্থাৎ ফায়সালার রাত্র এবং শবে ক্বদরকে লাইলাতুল তানফীয অর্থাৎ নির্ধারিত ফায়সালার কার্যকরী করার রাত্র বলা হয়। (তাফসীরে মাযহারী,তাফসীরে খাযীন,তাফসীরে ইবনে কাছীর,বাগবী, কুরতুবী,রুহুল বয়ান,লুবাব)

সুতরাং মহান আল্লাহ পাক তিনি যে সুরা দু’খান-এ বলেছেন, ” আমি বরকতময় রজনীতে কুরআন শরীফ নাযিল করেছি ” এর ব্যাখ্যামুলক অর্থ হল ” আমি বরকতময় রজনীতে কুরআন শরীফ নাযিলের ফায়সালা করেছি “। আর সুরা ক্বদর-এ ” আমি ক্বদরের রজনীতে কুরআন শরীফ নাযিল করেছি ” এর ব্যাখ্যামুলক অর্থ হল ” আমি ক্বদরের রজনীতে কুরআন শরীফ নাযিল করেছি “।
অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি শবে বরাতে কুরআন শরীফ নাযিলের সিদ্ধান্ত নেন এবং শবে ক্বদরে তা নাযিল করেন।

হাদীছ শরীফ এ ও শবে বরাতে সমর্থন পাওয়া যায়। হাদীছ শরীফ এ ইরশাদ হয়েছে, ” উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত আছে। একদা মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, হে হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম ! আপনি কি জানেন, লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান বা শবে বরাতে কি সংঘটিত হয়? তিনি বললেন, হে আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ! এ রাত্রিতে কি কি সংঘটিত হয়? মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, এ রাতে আগামী এক বছরে কতজন সন্তান জম্মগ্রহণ করবে এবং কতজন লোক মৃত্যূবরণ করবে তা লিপিবদ্ধ করা হয়। আর এ রাতে বান্দার (এক বছরের) আমলসমূহ মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট পেশ করা হয় এবং এ রাতে বান্দার (এক বছরের) রিযিকের ফায়সালা হয়”। (বাইহাক্বী, ইবনে মাজাহ্, মিশকাত শরীফ)

হাদীছ শরীফ আরও ইরশাদ হয়েছে, ” উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, একদা মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে কোন এক রাত্রিতে রাতযাপন করছিলাম। এক সময় উনাকে বিছানায় না পেয়ে আমি মনে করলাম যে, তিনি হয়ত অন্য কোন উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের হুজরা শরীফ এ তাশরীফ নিয়েছেন। অতঃপর আমি তালাশ করে উনাকে জান্নাতুল বাক্বীতে পেলাম। সেখানে তিনি উম্মতের জন্য মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছেন। এ অবস্থা দেখে আমি স্বীয় হুজরা শরীফ এ ফিরে এলে তিনিও ফিরে এলেন এবং বললেনঃ আপনি কি মনে করেন মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আপনার সাথে আমানতের খিয়ানত করেছেন? আমি বললামঃ ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি ধারনা করেছিলাম যে, আপনি হয়তো আপনার অন্য কোন উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের হুজরা শরীফ এ তাশরীফ নিয়েছেন। অতঃপর হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি শা’বানের ১৫ তারিখ রাত্রিতে পৃথিবীর আকাশে অবতরণ করেন অর্থাৎ রহমতে খাছ নাযিল করেন। অতঃপর তিনি বণী কালবের মেষের গায়ে যত পশম রয়েছে তার চেয়ে বেশী সংখ্যক বান্দাকে ক্ষমা করে থাকেন”। (বুখারী শরীফ, তিরমিযী শরীফ, ইবনে মাযাহ, রযীন, মিশকাত শরীফ)

হাদীছ শরীফ এ আরও ইরশাদ হয়েছে, “হযরত আবু মুসা আশয়ারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ননা করেন, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি শা’বান মাসের ১৫ তারিখ রাত্রিতে ঘোষনা করেন যে, উনার সমস্ত মাখলুকাতকে ক্ষমা করে দিবেন। শুধু মুশরিক ও হিংসা-বিদ্বেষকারী ব্যতীত।” (ইবনে মাযাহ্, আহমদ, মিশকাত শরীফ)

হাদীছ শরীফ এ আরও ইরশাদ হয়েছে, “হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম তিনি বর্ননা করেন, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, যখন অর্ধ শা’বানের রাত তথা শবে বরাত উপস্থিত হবে তখন তোমরা উক্ত রাতে সজাগ থেকে ইবাদত-বন্দেগী করবে এবং দিনের বেলায় রোযা রাখবে। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি উক্ত রাতে সূর্যাস্তের সময় পৃথিবীর আকাশে রহমতে খাছ নাযিল করেন। অতঃপর ঘোষাণা করতে থাকেন, কোন ক্ষমা প্রার্থনাকারী আছো কি? আমি ক্ষমা করে দিব। কোন রিযিক প্রার্থনাকারী আছো কি? আমি তাকে রিযিক দান করব। কোন মুছিবগ্রস্ত ব্যক্তি আছো কি? আমি তার মুছিবত দূর করে দিব। এভাবে সুবহে ছাদিক পর্যন্ত ঘোষাণা করতে থাকেন।” (ইবনে মাযাহ্,মিশকাত শরীফ, মিরকাত শরীফ)

হাদীছ শরীফ এ আরও ইরশাদ হয়েছে, “মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, যে ব্যক্তি শা’বানের মধ্য রাতে (শবে বরাত) ইবাদত করবে তারই জন্য সুসংবাদ এবং তার জন্য সমস্ত কল্যাণ”

হাদীছ শরীফ এ আরও ইরশাদ হয়েছে, “মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, যে ব্যক্তি দুই ঈদের রাতে এবং অর্ধ শা’বানের রাত তথা শবে বরাতের রাতে জাগ্রত থেকে ইবাদত করবে, সে ব্যক্তির অন্তর ঐদিন মরবে না বা পেরেশান হবে না যে দিন সকলের অন্তর পেরেশান থাকবে।” (মুকাশাফাতুল কুলুব)

শবে বরাতের রাতে দোয়া কবুল প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফ এ ইরশাদ হয়েছে, “মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, পাঁচটি রাত এমন রয়েছে যেগুলোতে দোয়া করলে তা রদ বা বাতিল হয়না । (১) পহেলা রজবের রাত (২) শা’বানের মধ্য রাত তথা শবে বরাত (৩) জুমুয়ার রাত (৪) পবিত্র ঈদুল ফিতরের রাত (৫) পবিত্র ঈদুল আযহার রাত।” (দায়লামী শরীফ)

শবে বরাতের রাতে দোয়া কবুল প্রসঙ্গে অন্য হাদীছ শরীফ এ ইরশাদ হয়েছে, “মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, নিশ্চয়ই দোয়া বা মুনাজাত পাঁচটি রাতে কবুল হয়ে থাকে । (১) পহেলা রজবের রাত (২) শা’বানের মধ্য রাত তথা শবে বরাত (৩) ক্বদরের রাত (৪) পবিত্র ঈদুল ফিতরের রাত (৫) পবিত্র ঈদুল আযহার রাত (মা ছাবাত বিস্ সুন্নাহ, গুনইয়াতুত্ ত্বালিবীন, মুকাশাফাতুল কুলুব)

সুতরাং কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ এর উপরোক্ত বর্ণনা দ্বারা অকাট্যভাবেই প্রমাণিত যে, শবে বরাত কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ দ্বারা প্রমাণিত।
অনেকে উপরে উল্লেখিত শবে বরাত সম্পর্কিত কিছু হাদীছ শরীফ দ্বয়ীফ বলে শবে বরাতকে বিদায়ত বলে থাকেন। তাই দ্বয়ীফ হাদীছের ব্যাপারে নিচে আলোচনা করা হলঃ

দ্বয়ীফ হাদীছঃ
যে হাদীছ শরীফ এর রাবী হাসান হাদীছ শরীফ এর রাবীর গুণ সম্পন্ন নন তাকে দ্বয়ীফ হাদীস বলা হয়।
হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কোন কথাই দ্বয়ীফ নয় বরং রাবীর দুর্বলতার কারণে হাদীছ শরীফ কে দ্বয়ীফ বলা হয়।
দ্বয়ীফ হাদীসের দুর্বলতার কম বা বেশী হতে পারে। কম দুর্বলতা হাসানের নিকটবর্ত্তী আর বেশি হতে হতে মওজুতে পরিণত হতে পারে। এ ধরনের হাদীছ শরীফ আমলে উৎসাহিত করার জন্য বর্ণনা করা যেতে পররে বা করা উচিৎ। তবে আইন প্রণয়নে গ্রহনযোগ্য নয়।
এ প্রসঙ্গে হযরত ইমাম ইবনে হুমাম রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, “দ্বয়ীফ হাদীছ যা মওজু নয় তা ফজিলতের আমল সমূহে গ্রহণযোগ্য” (ফতহুল ক্বাদীর)
বিখ্যাত মুহাদ্দিস ও ফক্বিহ হযরত মোল্লা আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, “সকলেই একমত যে দ্বয়ীফ হাদীছ ফজিলত হাসিল করার জন্য আমল করা জায়েজ আছে।” (আল মওজুআতুল কবীর, ১০৮ পৃষ্ঠা)
উপরোক্ত বর্ণনার দ্বারা প্রমাণিত হল যে, দ্বয়ীফ হাদীছ শরীফ ফযীলত হাসিল করার জন্য আমল করা জায়েজ আছে। তবে দ্বয়ীফ হাদীছ দ্বারা সাব্যস্ত সকল আমল মুস্তাহাব।

যেমনঃ আল্লামা ইব্রাহিম হালবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার গুলিয়াতুল মুস্তামালী ফি শরহে মুনিয়াতুল মুছাল্লি কিতাবে উল্লেখ করেছেন, “গোসলের পরে রূমাল (কাপড়) দিয়ে শরীর মোছা মুস্তাহাব। উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত আছে – মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এক টুকরা কাপড় (রূমাল) ছিল যা দিয়ে তিনি অযুর পরে শরীর মুবারক মুছতেন” (তিরমিযি শরীফ)
এটা দ্বয়ীফ হাদীছ। কিন্তু ফযীলত হাসিল করার জন্য আমল করা যাবে।

হযরত মোল্লা আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার আল মওজুআতুল কবীরের ১০৮ পৃষ্ঠায় বলেন,
“সকলে একমত যে দ্বয়ীফ হাদীছ শরীফ ফযীলত হাসিল করার জন্য আমল করা জায়েজ আছে। এজন্য আমাদের আইম্মায়ি কিরামগণ বলেছেন, অযুর মধ্যে গর্দান মসেহ্ করা মুস্তাহাব।”
তার মানে অযুর মধ্যে গর্দান মসেহ্ করা -এটি দ্বয়ীফ হাদীছ।

সুতরাং যারা শবে বরাতের হাদীছ শরীফ সংক্রান্ত কিছু দলিলকে দ্বয়ীফ হাদীছ শরীফ বলে শবে বরাত পালন করা বিদায়াত বলে তাদের এধরনের বক্তব্য সম্পূর্ণ ভূল, জিহালত পূর্ণ, কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ এর সম্পূর্ন খিলাফ।

ডেমু ট্রেনে এক বছরে ক্ষতি দুই কোটি টাকার বেশি


ঘটা করে আনা ডেমু ট্রেনে এক বছরেই ক্ষতি হয়েছে দুই কোটি ৩ লাখ ৩২ হাজার টাকা। চালুর পর থেকে এ ট্রেনে জ্বালানিতেই ব্যয় হয়েছে ৫ কোটি ১২ লাখ টাকা। তবে এর বিপরীতে আয় হয়েছে ৩ কোটি ৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। গতকাল বুধবার দশম সংসদের বাজেট অধিবেশনের বৈঠকে সরকার দলীয় সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের এক প্রশ্নের উত্তরে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, চীন থেকে ডিজেল ইলেক্ট্রিক মাল্টিপল ইউনিট (ডিইএমইউ) বা ডেমু ট্রেন চালু করা হয়। পূর্বাঞ্চল এবং পশ্চিমাঞ্চলে ১১টি ডেমু ট্রেন চালু রয়েছে। ২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে এই ডেমু ট্রেন সার্ভিস চালু করা হয়। তবে যাত্রীসেবার মান বাড়াতে এই ক্ষতি মেনে নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী। তিনি বলেন, ডেমু ট্রেন চালু হওয়ার পর সন্ত্রাসী হামলায় ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের জন্য সুষ্ঠুভাবে চালানো সম্ভব হয়নি। এতে প্রত্যাশিত যাত্রীবহন ও আয় করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ায় ট্রেনে যাত্রী সংখ্যা বেড়েছে এবং আয়ও বাড়ছে। ডেমু ট্রেনসহ বাংলাদেশ রেলওয়ে যাত্রীদের সেবার মান ও পরিধি বাড়াতে ইন্টারসিটি, মেইল এবং এক্সপ্রেস ট্রেন চালু রয়েছে বলে জানান মুজিবুল হক।

আজকের রাশিফল ৫জুন,২০১৪


আজকের রাশিফল ৫জুন,২০১৪

rashifol

মেষ:
কর্তাব্যক্তির হস্তক্ষেপে কর্মস্থলের সমস্যা ঠেলে অগ্রগতি। স্থির বুদ্ধি ও অবিচল সিদ্ধান্তে কার্যোদ্ধার। অকারণে অন্যকে অপমান করার মাসুল গুনতে হতে পারে।

বৃষ:
মানসিক দুর্বলতায় নতুন পরিকল্পনার অগ্রগতি ব্যাহত হতে পারে। পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে ভ্রাতৃবিরোধ। সংক্রমণজনিত জ্বরজ্বালায় ভোগান্তি ও কাজে ব্যাঘাত।

মিথুন:
বুদ্ধিবলে বলবান শত্রুর মোকাবিলা। কর্মক্ষেত্রে গোলযোগ নিয়ে উদ্বেগের অবসান। সম্পত্তি ক্রয়ের সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা।

কর্কট:
কর্মসমস্যার সমাধান হয়ে যেতে পারে। গৃহ নির্মাণের সূচনায় জ্ঞাতির বাগড়া। অতিরিক্ত পরিশ্রমে দৈহিক দুর্বলতা।

সিংহ:
কুচক্রীর উস্কানিতে হঠকারী সিদ্ধান্ত না-নেওয়াই সমীচীন। সন্তানের বহির্মুখী মতিগতি অশান্তি বাড়াবে। হিতৈষীর পরামর্শে হতাশামুক্তির সম্ভাবনা।

কন্যা:
উদ্যমের অভাবে বা অসতর্কতায় পরিকল্পনা ভন্ডুল হয়ে যেতে পারে। কর্মস্থলে বেফাঁস মন্তব্যে বিড়ম্বনা। প্রেমপ্রণয়ে নতুন বাঁক।

তুলা:
বুদ্ধিবলে শত্রুদের সমবেত চেষ্টা প্রতিহত করে কর্মে অগ্রগতি। মামলার ফল অনুকূলে যাওয়ার আশা। পিতৃস্থানীয় ব্যক্তির আনুকূল্যে উপকৃত হতে পারেন।

বৃশ্চিক:
বহু শ্রমযোগে নতুন পরিকল্পনায় সাফল্যের সূচনা। অন্যের সমস্যা মেটাতে গিয়ে চক্রান্তের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা। ভাইবোনের সঙ্গে সম্পত্তি-বিরোধ।

ধনু:
নিজ কৌশলে কর্মস্থলের জট কাটিয়ে বাহবা লাভ। সাহিত্য ও সঙ্গীতের চর্চায় ব্যুৎপত্তি। গুরুজনের অনৈতিক কাজে মনঃকষ্ট।

মকর:
অনিয়ন্ত্রিত ভাবাবেগের জন্য স্বজনের উপহাসের পাত্র হতে পারেন। প্রেমপ্রণয়ে জটিলতা কেটে আশার আলো। বন্ধুর অনৈতিক কাজকর্মে সম্পর্কের অবনতি।

কুম্ভ:
বিজ্ঞজনের পরামর্শে ভাগ্যোদয় ও নৈরাশ্যমুক্তি। সহকর্মীর বিপদে পাশে দাঁড়াতে গিয়ে বিপত্তির আশঙ্কা। বিদ্যার্থী ও গবেষকদের পক্ষে শুভ দিন।

মীন:
গুরুজনের পরামর্শ কার্যোদ্ধারের কাজে লাগতে পারে। সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আইনি ব্যবস্থা। প্রবল দুঃখবোধ থেকে আধ্যাত্মিক মননের বিকাশ।